শুনতে অবাক লাগলেও আসলে বিষয়টা একদম সত্যি। এবার করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার কার্ড। এমনই নির্দেশ জারি করেছে রাজস্থান সরকার। একটি সরকারী নির্দেশে বলা হয়েছে কোভিড ১৯ পরীক্ষার ক্ষেত্রে আধার কার্ড এর নম্বর নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
সেক্ষেত্রে রাজস্থানের কোনও ব্যক্তি সরকারী বা বেসরকারী যেকোনো ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করালেই তাঁকে RT-PCR অ্যাপে বাধ্যতামূলকভাবে আধার কার্ডের তথ্য জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে, তার যদি নিজের আধার কার্ড না-থাকে, তাহলে তাকে পরিবারের বড় কোনও সদস্যের আধার কার্ডের নম্বর দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়াও এই নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া বাধ্যতামূলক করছেন রাজস্থান সরকার। রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গবেষণাগারগুলিকে এমনটাই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারী আধিকারিকদের দাবী এক দিনে ৪০,০০০-এরও বেশি করোনা পরীক্ষার ক্ষমতা রয়েছে এই রাজ্যের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বর্তমানে রাজস্থানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬,৮৭৮ জন। এদের মধ্যে এখনও চিকিত্সাধীন রয়েছেন ১০,০৮৪জন। সেরে উঠেছেন ২৬,১২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৩১জনের।
বর্তমানে দেশজুড়েও দৈনিক ভাইরাস আক্রান্তের ছবিটাও একেবারেই স্বস্তিদায়ক নয়। আক্রান্তের গ্রাফটা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী। ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের নিরিখে একের পর এক রেকর্ড হয়ে চলেছে। আজ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৫৬ জন।
মৃত্যুর নিরিখে ইতিমধ্যেই স্পেন ও ফ্রান্সকে আগেই টপকে গিয়েছে ভারত। সামনেই রয়েছে ইতালি। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার। ইতিমধ্যে ভারতে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১৩ হাজার ৮৮৩জন। দেশে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে এই রাজ্যে। মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৩ জনের। এর পরেই রয়েছে তামিলনাডু। সেখানে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৩ হাজার ৫৭১। এই মারণ ভাইরাসের কারণে গুজরাতেও ২ হাজার ৩৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই মূহুর্তে আমাদের রাজ্যের চিত্রটাও খুব একটা ভালো নয়। রাজ্যে এই মূহুর্তে সর্বমোট আক্রান্তের পরিমাণ ৬০ হাজার ৮৩০জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪১১ জনের।