দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো :গতকাল এক সরকারী সুত্রানুযায়ী প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আনলক-৩ বা করোনভাইরাস থেকে উদ্ভূত লকডাউন শিথিলের পরবর্তী পর্যায়ের অংশ হিসাবে সিনেমা, থিয়েটার এবং জিমগুলিকে বেশ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে খুলতে দেওয়ার অনুরোধ বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
যদিও সম্ভাব্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আগস্ট পর্যন্ত স্কুল ও কলেজগুলিকে আপাতত অনলাইন ক্লাসের সাথে অব্যাহত থাকতেই নির্দেশ জারি করতে চলেছে সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিনেমা হলগুলির একটি সমিতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছে যে ২৫-৩০ শতাংশ দর্শক নিয়ে থিয়েটারগুলিকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। তাদের এই অনুরোধটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরকারী সুত্র এও বলছে যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা ফিটনেস সেন্টার ও জিমগুলিও বেশকিছু বিধিনিষেধের সাথেও খুলতে পারে, ।
দিল্লি সরকার কেন্দ্রকে মেট্রো পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, তবে সে বিষয়ে কেন্দ্র এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
সরকারী সুত্র এই জানাচ্ছে যে, আগামী মাসে অনেক উত্সব নির্ধারিত থাকায় কেন্দ্র এই মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞাগুলি সহজ করার বিষয়ে সতর্কতার সাথে এগিয়ে চলেছে।
যদিও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যথেষ্ট কঠিন হয়ে যাচ্ছে কারণ ভারতে প্রতিদিন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০ এর কোঠা স্পর্শ করছে। দেশে এ পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর নিরিখে ইতিমধ্যেই স্পেন ও ফ্রান্সকে আগেই টপকে গিয়েছে ভারত। সামনেই রয়েছে ইতালি।
জানা গিয়েছে থিয়েটার এবং জিমগুলি পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে কেন্দ্র এগিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যগুলি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


করোনা ভাইরাসের বিস্তারকে ধীর করতে মার্চ মাসের শেষের দিকে ভারত লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে সিনেমা, জিম, স্কুল ও কলেজ বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরে সম্পুর্ন বন্ধ থাকার পর পর্যায়ক্রমে লকডাউন শিথিল করার সময়, মল, বাজার এবং গণপরিবহনকে বিধিনিষেধের আওতা থেকে শর্তমূলক ভাবে ছার দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ে সীমিত বিমান এবং ট্রেন পরিষেবাও আবার চালু করা হয়েছিল।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার সাপ্তাহিক রেডিও শো- ‘মন কী বাত’এ ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন যে করোনাভাইরাস শুরুতে যতটা বিপজ্জনক “এখনও ততটা বিপজ্জনক” নয়। তবে তিনি এও বলেছিলেন যে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে সুস্থ হওয়ার হারও তুলনামূলক ভালো। এই মূহুর্তে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৬৪.২৩%।