দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো :করোনা ভাইরাস যে মানবজাতির জন্য কত বড় অভিশাপ সেটা আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে দেশবাসী হারিয়েছে অনেক কিছুই, কেউ যেখানে হারিয়েছেন প্ৰিয়জনকে, কেউ আবার হারিয়েছেন জীবিকা ।
ধনী-গরিব নির্বিশেষে করোনা আঘাত হেনেছে সমাজের প্রায় প্রতিটা স্তরেই পেটের তাগিদে মানুষ হাতের কাছে যা কাজ পাচ্ছেন তাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। ভারতের হুইলচেয়ার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রাজেন্দ্র সিং ধামিও তাদের মধ্যে একজন, ক্ষুধার জ্বালা নিবারণ করতে ব্যাট বল ছেড়ে বেছে নিতে হয়েছে দিনমজুরের কাজ।
উত্তরখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় বাড়ি রাজেন্দ্রর । তার শরীরের নব্বই শতাংশই প্যারালাইসিসের কারণে অক্ষম, তা সত্বেও স্থানীয় এক নির্মাণ প্রকল্পে তিনি পাথর ভাঙার কাজ করছেন পরিবারের মূখে দু বেলা অন্ন তুলে দিতে ।
সংবাদ সংস্থা আইএনএসকে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘মার্চে লকাডাউন শুরু হওয়ার পর আমি রুদ্রপুরে অনুশীলন করছিলাম। এরপর নিজের গ্রাম রায়কোটে ফিরে আসি। ভেবেছিলাম লকডাউনটা অল্প কদিনের জন্য। কিন্তু এটা দীর্ঘ হয়। তখন থেকেই আমার পরিবারে সমস্যার সূত্রপাত। আমার ভাই গুজরাটের একটি হোটেলে কাজ করতো। লকডাউনের কারণে তাকেও বাড়িতে ফিরে আসতে হয়। আমার ষাটোর্ধ্ব বাবার পক্ষে দিনমজুরের কাজ করা সম্ভব নয়। এ কারণেই আমি কাজটা নিয়েছি।’
ভারতীয় হুইলচেয়ার টিমের হয়ে 15টি ম্যাচ খেলা রাজেন্দ্র সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন, ‘একটা টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে সেটি স্থগিত হয়ে গেছে। আমি সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি আমার যোগ্যতা অনুসারে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে।’
পিথোরাগড়ের জেলা শাসক ড. বিজয় কুমার জোগদান্দে জানিয়েছেন, জেলা ক্রীড়া আধিকারিকের সঙ্গে রাজেন্দ্রর আর্থিক সমস্যার বিষয়টি আলোচনা করবেন তিনি। প্রাক্তন এই ভারত অধিনায়ককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।