দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: আগামী ৫’ই আগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো। গত বছর অযোধ্যা রায় ঘোষণার পরেই এই ট্রাস্ট তৈরি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এই মূহুর্তে সারা দেশ জুড়ে চলছে কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধ, সেই সাথে ৬৫ ওপর বয়সী মানুষদের বাড়ির বাইরে বেড়নোর ওপরে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। সেই জন্যে এবার সশরীরে নয় বরং ভার্চুয়ালি ভূমিপুজো চাক্ষুস করবেন বিজেপির দুই বর্ষীয়ান নেতা দ্বয় আডবাণী ও জোশী জি।
এই দুই প্রবীণ বিজেপি নেতাকে শনিবারই ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টই এই ঐতিহাসিক মন্দির নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে। ওইদিন প্রায় ৫০ জন ভিভিআইপির উপস্থিতিতে আয়োজিত হবে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী। আমন্ত্রিত রয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং। যদিও সূত্রের খবর, প্রথমেই প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানি ও প্রভাবশালী নেতৃত্ব মুরলীমনোহর জোশীকে কোনো আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি। যদিও এই দুজনের সাথেই অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলন জড়িয়ে রয়েছে প্রায় পুরোটাই। এই ভূমি পুজোর দায়িত্বে থাকা রামমন্দির ট্রাস্ট সূত্রে খবর, আডবানী-জোশীকে ফোনেই আমন্ত্রণ করা হয়েছে। বাকিরা পত্রপাঠ আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন।
রাম মন্দির গঠন প্রসঙ্গে কল্যাণ সিং বলেছেন, ” ১৯৯২ সালের ৬’ই ডিসেম্বর দিনটিতে যা ঘটেছিল, তার জন্য আমার কোনো আক্ষেপ নেই। এবং সেই ঘটনার মূল্য আমি যথার্থই চুকিয়েছি। তাই ৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবো।”
“আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”
-মুরলী মনোহর যোশী (বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত সপ্তাহেই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বাবরি ধ্বংস মামলার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবানি। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এমএম জোশীরও। ঘনিষ্ঠ মহলে এই বিষয়ে প্রবীণ এই বিজেপি নেতা বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।” একইভাবে এই ঘটনায় আদালতের রায় তাঁর জীবনে কোনও প্রভাব ফেলবে না। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীও এমনটাই দাবি করেছেন ।
আসছে ৫’ই আগস্ট উপলক্ষে সম্পুর্ন অযোধ্যা জেলা জুড়েই চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। মন্দির কমিটির তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, কোভিড-১৯ প্রোটোকল মেনেই এই ভূমিপুজো আয়োজন করা হবে। কমবেশি ২০০ জন উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। যদিও ভূমিপুজো আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। মন্দির কমিটির এক সেবায়েত এবং ১৬ জন পুলিশকর্মী এই সংক্রমিতের তালিকায় রয়েছেন। মন্দির কমিটির প্রধান সেবায়েতের সহকারী প্রদীপ দাস সহ এই ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবরে স্বাভাবিক ভাবেই জেলাজুড়ে আশঙ্কা ছড়িয়েছে।