দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: করোনা আবহে দেশের মানুষের মানসিক পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নেই। সেই সাথে লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক মন্দা এবং অজানা আতঙ্কে মানুষ জেরবার। ঠিক এই সমস্যার মাঝেই একটু স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে হাসপাতালে থাকার সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। এই মর্মে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশও পাঠিয়েছে দিল্লি।
এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে রোগীরা যাতে পরিবার, পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে স্মার্টফোন বা ট্যবলেট ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে এতে হাসপাতালে থাকার সময়ে মানসিক জোর পাবেন রোগীরা।
প্রসঙ্গত বিভিন্ন রাজ্য তাদের করোনা হাসপাতাল গুলিতে অ্যাডমিটেড পেশেণ্টদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রোগীর সাথে তার পরিজনরা ফোন মারফত্ যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এছাড়া আদতে সেখানে রোগীর কী অবস্থা সেটাও ঠাওর করতে পারা দুষ্কর ছিল।
এমনিতেই আইসোলেশনে থাকার ফলে অন্য রোগীদের সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ নেই। পিপিই পরা চিকিত্সক, নার্সদের মুখ দেখারও সুযোগ নেই। এই সব কারণে হাসপাতালে অনেকেরই সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সার সময়ে একাকিত্ব অনেক রোগীর কাছে ভীষণভাবে যন্ত্রণার। এই সব কথা মাথায় রেখেই রোগীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া হল।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে দেশে গড় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। সোমবারও তার ব্যাতিক্রম হয় নি। সোমবার নতুন করে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। অর্থাত্ মোট ১২ লাখ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখন গড় সুস্থতার হার ৬৫ শতাংশের বেশি। যা বেশ আশাব্যঞ্জক । যদিও কেন্দ্র জানাচ্ছে এখন দেশে এই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখাচ্ছে কারণ সারা দেশেই কোভিড টেস্ট আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। তাই বেশি সংখ্যক রোগীকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে। এমত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত করোনা রোগী ও তার পরিজনদের যে অনেকটাই স্বস্তি দেবে তা বলাই বাহুল্য।