দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:ঠিক এক বছর আগে 2019 সালের 5ই আগস্ট ক্ষমতাসীন এন ডি এ সরকার অমিত শাহের নেতৃত্বে কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা প্রদানকারী ধারা 370 ও ধারা 35A রদ করে। ফলস্বরূপ কাশ্মীরের সমান্তরাল শাসনব্যবস্থা ও বিশেষ অধিকারের সমাপ্তি ঘটে। জম্মু ও কাশ্মীর নতুনভাবে জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে বিভাজিত হয়।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের অধিকার নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ চলে আসছে। কাশ্মীরের অধিকার নিয়ে প্রতিবেশী দেশটি চার বার যুদ্ধ করেও বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি। সীমান্তে গোলাগুলি এবং ভারত বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরী ও তাদের ফান্ডিং করার চোরা পথেও দেশটি কয়েক দশক ধরে হেঁটে আসছে। মিলিট্যান্টদের সাহায্যে কাশ্মীর দখলের পরিকল্পনা 1947 এর সময় থেকেই,ফলস্বরূপ ভূস্বর্গে জঙ্গি কার্যকলাপে সাধারণ মানুষ ও সেনা মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে ভারত।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে আগে থেকেই শ্রীনগরে শর্তসাপেক্ষ লকডাউন চলছিল। চিনা মদতপুষ্ট পাকিস্তানের উস্কানিতে ভূস্বর্গে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন 4 ও 5ই আগস্ট শ্রীনগরে কারফিউ জারি করে। শ্রীনগর ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সাহিদ ইকবাল চৌধুরী এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন।
সোমবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস রাজুর নেতৃত্বে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। শ্রীনগরের প্রতিটি থানা এলাকায় নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।