দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: হাতে নয় চীনকে ভাতে মারার পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছে ভারত। খুব সুক্ষভাবে হলেও গলওয়ানে ভারত-চীন সংঘাতের প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছে ভারত। আরও ১৫টি জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ ব্যান করা হলো।
এই নতুন তালিকায় আছে বাইটড্যান্সের এর মালিকানাধীন ভিডিয়ো এডিটিং অ্যাপ ক্যাপকাট এবং শাওমি-র ব্রাউজার অ্যাপ দুটি। সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে এই তালিকা ছাড়াও আরও ২৭৫টি চিনা অ্যাপ সরকারের নজরদারীতে রয়েছে। এই সমস্ত অ্যাপ জাতীয় নিরাপত্তা বা গ্রাহক ব্যক্তিগত তথ্য সংক্রান্ত নীতি ভঙ্গ করছে কি না, তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, লাদাখের গলোয়ান উপত্যকায় ২০ জন সেনার শহীদ হওয়ার ঘটনায় ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। সীমান্তে দুইপক্ষের কর্প-কমাণ্ডার স্তরে দফায় দফায় আলোচনা চলছে ঠিক সেই মূহুর্তে ‘সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার’ প্রেক্ষিতে গত জুন মাসেই মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপের ভারতের বাজারে ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়। এই তালিকায় ছিল বাইটডান্স-এর ভিডিয়ো শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক, আলিবাবা’র ইউসি ব্রাউজার, শাওমি-র এমআই কমিউনিটি অ্যাপ।
শুধু তাই নয় গত কয়েক সপ্তাহে আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপের উপরে শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছিল। এর মধ্যে এধিকাংশই জুন মাসে নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির ক্লোন বা লাইট ভার্সন। সে কারণে দ্বিতীয় দফার নিষিদ্ধ তালিকায় ছিল টিকটক লাইট, হেলো লাইট, শেয়ারইট লাইট, বিগো লাইট এবং বিএফওয়াই লাইট-এর মতো অ্যাপ।
গত দশ দিনে যে যে চিনা অ্যাপ ভারতে ব্যান করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এয়ারব্রাশ (ফোটো এডিটর), মেইপই (শর্ট ভিডিয়ো অ্যাপ), চিনের সংস্থার মেইটু-এর মালিকানাধীন বক্সক্যাম (ক্যামেরা অ্যাপ)।
নয়াদিল্লি প্রথম দফায় যে সমস্ত অ্যাপ ব্যান করেছিল তার মধ্যে মেইটু ছিল। এছাড়া ইমেল সার্ভিস নেটিজি, কিউভিডিও-এর মালিকানাধীন গেমিং অ্যাপ হিরোসওয়ার এবং স্লাইডপ্লাস। এর আগে শাওমির এমআই কমিউনিটি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় নি। এবার এম আই ব্রাঔজার প্রো ব্যান করা হয়েছে। নিষেধের তালিকায় আর কিছুটা দীর্ঘ। যেখানে জায়গা করে নিয়েছে বাইদু সার্চ এবং সার্চ লাইট-এর মতো অ্যাপও।
যদিও গত জুন মাসের পরবর্তি চীনা অ্যাপ ব্যান করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি সরকার আর এই বিষয়ে ভারত সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। এমনকী এই বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চীনাদূতাবাস। তবে জুন মাসে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বেজিং।
যদিও বেজিং এর পাশাপাশি ভারত সরকারের অ্যাপ ব্যানের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে চিনা সংস্থা বাইদু’ও। অন্যদিকে, ভারতে উপস্থিত শাওমির-র মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা সমস্ত পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুসরণ করছেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।