দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গুজরাটের নবরঙপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। এই ঘটনায় দারুণ আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতাল ও সংলগ্ন অঞ্চলে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভোর ৩টে নাগাদ আগুন লাগার এই খবর জানাজানি হওয়ার পরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নবরঙপুরের ‘শ্রেই হাসপাতাল’ থেকে বাকি সব করোনা রোগীকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়। ওই সমস্ত রোগীদের ১০টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিকটবর্তী সিভিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে মৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা রোগী যাঁরা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। ভোর ৩টের পর পরই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল। ৮ টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয় ।
গুজরাটের ও বেসরকারি ‘শ্রেই হাসপাতালের’ নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, আগুন লাগার সময়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মোট ৪৫ জন করোনা রোগী। হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের তত্পরতায় তাঁদের উদ্ধার করে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দমকল আধিকারিকরা মনে করছেন, হাসপাতালের বিদ্যুত্ এর লাইনে শর্ট সার্কিটের দরুণ ওই আগুন লাগতে পারে। নিহত ৮ জন রোগীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ভয়াবহ ও হৃদয় বিদারক অগ্নিকাণ্ডের কথা জানতে পেরে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন- “আমেদাবাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি জানতে পেরে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সেরে উঠুন। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি ও মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্যের ব্যবস্থা করছে।”
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ট্যুইটের পাশাপাশি তাঁর কার্যালয় থেকেও এই অগ্নিকাণ্ডের পর একটি ট্যুইট করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়। ওই ট্যুইটে জানানো হয়েছে, “আমেদাবাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে পিএমএনআরএফ (প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল) থেকে মাথাপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর হাসপাতালের ওই অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।”