দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির পর পরই জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হল টিউলিপ ভ্যালী। বৃহস্পতিবার এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুলগাম জেলায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে জঙ্গিরা আচমকাই সাজাদ আহমেদের উপর হামলা চালায়। এই সাজাদ আহমেদ কুলগামের বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি। প্রায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সাজাদ কে লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই আততায়ী হামলার পরপরই তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্যে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে কুলগামের এই আততায়ী হামলার দায় স্বীকার করেছে রেজিস্ট্যান্ট ফ্রন্ট নামে একটি নতুন জঙ্গি দল। পুলিশ জানিয়েছে, এটি আসলে জয়েশ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনেরই একটি বিচ্ছিন্ন অংশ।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়ে চতুর্থ বিজেপি নেতার উপর হামলা চালালো জম্মু- কাশ্মীরের জঙ্গিরা। শুধু তাই নয় বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় আগে এই কুলগামেরই আরেক পঞ্চায়েত সদস্য তথা বিজেপি নেতা আরিফ আহমেদ খানকেও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসে, বিজেপি নেতা শেখ ওয়াসিম বারি ও তাঁর বাবা এবং এক ভাইকে বান্দিপুর জেলায় জঙ্গিরা খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। এই ওয়াসিম বান্দিপুরের জেলার বিজেপি প্রধান ছিলেন।
বান্দিপোরায় বিজেপি কর্মী ওয়াসিম বারির উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর সময় শুধু ওয়াসিম বারিই নন, মারাত্মক আহত হন তাঁর বাবা বশির আহমেদ ও ভাই উমর বশির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তাঁরা তিনজনই সেখানে মারা যান।
এই ঘৃণ্য জঙ্গি আক্রমণ সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ট্যুইটে বলেছেন, “ওয়াসিমের মৃত্যু জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপি দলের পক্ষে একটি বিরাট ক্ষতি। ওর পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রয়েছে। গোটা দল ই শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে দলের জন্যে তাঁদের এই আত্মত্যাগ কখনোই বৃথা যাবে না।”
জম্মু কাশ্মীরের পাকিস্তানি মদত পুষ্ট জঙ্গিরা যেভাবে নির্বিচারে গুলি করে বেছে বেছে বিজেপি রাজনীতিবিদদের হত্যা করছে তা কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধরা প্রত্যাহারেরই প্রত্যাঘাত বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। দেশ জুড়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা হচ্ছে।