দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ইউজিসি ও শিক্ষামন্ত্রকের ফেসবুক এবং টুইটার হ্যান্ডলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হোলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ। আজ ‘জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চ শিক্ষায় রূপান্তরমূলক পুনর্গঠন’ নিয়ে তিনি বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্যের প্রথমেই শিক্ষানীতি নিয়ে দেশ জুড়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, তিনি তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বক্তব্যের শুরুতেই দেশের সকল উপাচার্যদের উদ্দেশে বলেন- ‘ দেশের নতুন শিক্ষানীতি গোটা দেশ জুড়ে একটি ‘স্বাস্থ্যকর বিতর্কের’ জন্ম দিয়েছে। আমি মনে করি আমরা যত বেশি আলোচনা করব এবং তর্ক করব ততই আমাদের এই শিক্ষানীতির গভীরে প্রবেশ করে তাকে জানতে ও বুঝতে সুবিধা হবে। আর এতে লাভবান হবে শিক্ষা বিভাগ। সেই সাথে সাথে তিনি এও বলেন যে তবে অবশ্যই, এই পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তরে আমরা সবাই মিলে এই শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করব। কারণ আপনারা প্রত্যেকেই এই নতুন শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে সরাসরি জড়িত রয়েছেন। তাই সরকারের পাশাপাশি আপনাদের দায়িত্ব অনেক’।
এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক ও ইসরোর প্রাক্তন প্রধান কাস্তুরিরঞ্জন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩৪ বছর পর ভারতের ‘শিক্ষা সংস্কার’ ও ‘নতুন শিক্ষানীতি’ গঠনের নেপথ্যে থাকা কমিটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই প্রাক্তন ইসরো প্রধান।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে- ‘নয়া শিক্ষনীতি, ভারতকে শক্তিশালী, আত্মনির্ভর, উপযুক্ত করে তোলার জন্যে একুশ শতকের বিশ্বভাবনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে । আগামীদিনে প্রথাগত নয় বরং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে লেখাপড়া করা হবে। তিন-চার বছর ধরে পরীক্ষমূলক সমীক্ষা চালিয়ে তার ফলাফল কে অনুসরণ করে এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় পড়ুয়াদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের দৌড় থেকে সরিয়ে আনতে হবে ‘।
উচ্চশিক্ষার সংস্কার নিয়ে বক্তব্য পেশ করার সময় এপিজে আব্দুল কালাম ও রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করেন মোদী। তিনি এই সকল মনীষীদের উক্তি টেনে বলেন- “প্রতিভা ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের চেষ্টা করা হয়েছে নয়া শিক্ষানীতিতে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষনের ওপরে জোড় দেওয়া হয়েছে। যাতে শিক্ষকরা নিজেদেরকে সময়ের সাথে সাথে ক্রম পর্যায়ে আপডেট করতে পারে। এই নতুন শিক্ষানীতি দিশা দেখাবে ২১ শতককে’।
তিনি আরও বলেছেন নয়া রাষ্ট্রীয় শিক্ষানীতিতে শ্রমিক, চাষীদের পরিশ্রম সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করা হবে। তাদের কাজকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘প্রয়োজন অনুসারে মাঝপথে পড়াশোনা থামিয়ে দেওয়ার সুবিধা থাকছে। প্রয়োজনে তারা পরবর্তীকালে আবার শুরু করতে পারবে লেখাপড়া। চাকরির প্রয়োজন অনুসারে পড়তে পারবেন শিক্ষার্থীরা’।