দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: দেশ জুড়ে অব্যাহত থাকা করোনা অতিমারীর কারণে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রদের জন্য কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলে ডিগ্রী স্বীকৃত হবে না। সুপ্রিম কোর্টকে জানালো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
সোমবার ইউজিসির কৌঁসুলি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার জন্য ইউজিসির সময়সূচীকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ আবেদনের জবাবে একথা
জানিয়েছেন।
মেহতা বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চের সামনে যুক্তি দেখান যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না করাটা ছাত্রদের স্বার্থে নয়। তিনি শীর্ষ আদালতের কাছে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের হলফনামার উত্তর দাখিল করার জন্য সময় চেয়েছেন, যেখানে তারা বলেছে যে তারা রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আবেদনকারীদের কৌঁসুলি যুক্তি দেখান যে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য ইউজিসি নির্দেশিকা “আইনগত বা সাংবিধানিকভাবে বৈধ নয়”।
মেহতাও যুক্তি দেখান যে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের তাদের নিজ নিজ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ইউজিসির নিয়মের পরিপন্থী।
এই প্রসঙ্গে তিনি যুক্তি দেখান যে ইউজিসিই একমাত্র সংস্থা যারা ডিগ্রী প্রদানের জন্য নিয়ম নির্ধারণ করতে পারে এবং রাজ্য সরকার সে নিয়ম পরিবর্তন করতে পারে না।
একজন আবেদনকারীর কৌঁসুলি বলেন যে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি নির্দেশিকায় সম্পূর্ণ অসঙ্গতি রয়েছে।
ইউজিসি দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের দায়ের করা হলফনামায় সাড়া দেওয়ার জন্য সময় দেওয়ার পর শীর্ষ আদালত আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এই শুনানি মুলতবি করে।
উল্লেখ্য গত ১৮’ ই জুলাই ইউজিসি এই মর্মে নির্দেশ জারি করে যে আগামী সেপ্টেম্বর এর মধ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে অন্তিম সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। সেক্ষেত্রে ইউজিসি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে বলে, যেখানে পরীক্ষার্থী কাগজ ও কলম/অনলাইন/অনলাইন ও অফলাইনের যৌথ প্রয়াসে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি নিষেধ মেনেই পরীক্ষা দিতে পারে। কিন্তু ইউজিসি’র এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়ে যার মধ্যে দিল্লি ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিও রয়েছে।
ইউজিসি’র বিজ্ঞপ্তি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইউজিসি’র বিজ্ঞপ্তি মতে দেশের ৭৫৫ টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে ১৯৪ টি পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফেলেছে আর বাকি ৩৬৬ টি ইউনিভার্সিটি আগস্ট/ সেপ্টেম্বেরে এই পরীক্ষা সংঘটিত করতে চলেছে। যদিও এই মামলার সাথে সাথে চুড়ান্ত বছরের পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কী লেখা আছে তা জানার জন্যে নজর রাখতে হবে শুক্রবারের এজলাসের দিকে।