দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দেশে করোনা সংক্রমণ উর্দ্ধমুখী। বিগত কয়েকদিনেই দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে বিশ্বের বহু দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। সংক্রমণের বিশ্বতালিকায় ৩ নম্বরে থাকা ভারত এই নিয়ে টানা সাত দিন দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে শীর্ষে। গত ৭ দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের থেকেও বেশি মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলা কী করণীয় তা নির্ধারণ করতে দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই মারাত্মক হচ্ছে। এর আগে গত জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নানা পরিকল্পনার পরেও নতুন সংক্রমণের গতি রোধ করা যাচ্ছে না। এটি করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদির সপ্তম বৈঠক। গত জুলাই মাস থেকেই “আনলক ৩” পর্যায় শুরু হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধ লঘু করার সঙ্গে সঙ্গেই অত্যন্ত দ্রুত হারে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আমলা, পুলিশ কেউই করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পাননি। এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছে দল নির্বিশেষে বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রীও মারা গিয়েছেন বহু দলীয় কর্মী-সমর্থক । স্বাভাবিক ভাবেই মোদি সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
সকাল ১১ টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী।
শুধু করোনার প্রকোপ নয় ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি একটি নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে। সেকারণে গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদি অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং কেরল সহ ৬টি রাজ্যের বন্যা-পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে সংক্রমণ ৫৩,৬০১ জনের শরীরে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত দেশের ২২,৬৮,৬৭৫ জন মানুষ করোনার কবলে। দেশে প্রাণ গিয়েছে ৪৫,২৫৭ জনের।
তবে আসার আলো এখানেই যে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা। এপর্যন্ত মোট ১৫,৮৩,৪৮৯ জন এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। ফলে এখন সুস্থতার হার ৬৯.৭৯ %।