দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আতঙ্কের আবহে সারা বিশ্বই হাঁ করে তাকিয়ে কবে হাতে আসবে প্রাণদায়ী ভ্যাকসিন। বিশ্বের প্রথম সারি থেকে মাঝারি সব দেশেই চলছে ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা। আজ রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন ঘোষণা করেন প্রথম সরকারী করোনা ভ্যাকসিন। এই খবরে বিশ্বজুড়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঠিক সেই মূহুর্তে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট জানালো খুশীর খবর। আগামী ডিসেম্বরেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। পুণে ভিত্তিক এই সংস্থা সারা বিশ্বের মধ্যেই সর্বোচ্চ ভ্যাকসিন উত্পাদন করে থাকে। আজ সংস্থার সিইও আদর পুনওয়ালা জানিয়েছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতের বাজারে তারা ভ্যাকসিন আনতে বদ্ধপরিকর।
ইতিমধ্যে গোটা দেশেই উর্দ্ধমুখী করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লক্ষ পার করতে চলেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দশটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে জরুরী ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। সেখানে একগুচ্ছ পরকলপনা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে এই সংক্রমণকে রোধ করা যেতে পারে। আজ সিরাম ইন্সটিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানান সবকিছু টিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতের বাজারে আসছে প্রাণঘাতী করোনার টিকা। সেই সাথে প্রতি ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের আসল দাম কত হবে তা আগামী দু-মাসের মধ্যেই ঠিক করে ফেলা হবে।
তিনি এও জানান যে আগামী দু-সপ্তাহের মধ্যেই ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (IMRC) এর সাথে যৌথ উদ্যোগে কয়েক হাজার রোগীর উপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এই প্রয়োগ প্রসঙ্গে আদার পুনাওয়ালা জানান- ” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)’র অনুমোদন পাওয়া গেলেই ২০২০’র শেষভাগেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে।সেই সাথে এই বছরের শেষেই ৩০ থেকে ৪০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষমাত্রাও নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, করোনা ভ্যাকসিন তৈরি ও বাজারজাত করতে ইতিমধ্যে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পুনের এই স্বাস্থ্য গবেষণা কেন্দ্র। প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করেছেন বিল গেটস এর ফাউন্ডেশন। তাঁদের এই অর্থ সাহায্য করোনা ভ্যাকসিনের দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে বলেই খবর রয়েছে। তারও আগে ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে অ্যাস্ট্রোজেনেকা- অক্সফোর্ডের সঙ্গেও চুক্তি সেরেছে এই ভারতীয় সংস্থা।