দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: গত মঙ্গলবার ইনফোসিস কর্ণধার নারায়ণমূর্তি ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির প্রশ্নে আশঙ্কার কথা বলেছেন। তাঁর মতে, “স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অর্থাত্ ১৯৪৭ সালের পরবর্তি সময়ে এই প্রথম দেশের আর্থিক বৃদ্ধি (GDP) সর্বনিম্ন হতে পারে।” তিনি আরও বলেন যে অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনা উচিত এবং মানুষকে এই ভাইরাসকে সাথে নিয়েই বেঁচে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাঁর আশঙ্কা ভারতের জিডিপি ৫% এর নিচে নেমে যাবে। তিনি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কথোপকথনের ১৬তম সংস্করণ ‘ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবের নেতৃস্থানীয় ‘ নিয়ে একটি আলোচনায় অংশগ্রহণ করছিলেন।
আর ইনফোসিসের কর্ণধারের এই আশঙ্কাকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। দলের প্রাক্তন সভাপতি আর সাংসদ রাহুল গান্ধি আজ বুধবার সকাল ১১ টা নাগাদ একটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি বিজেপিরই প্রচারবার্তা ‘মোদি হ্যায় তো, মুমকিন হ্যায়’কে হাতিয়ার করে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে আক্রমণ করেছেন।
রাহুল গান্ধী তাঁর টুইটে নারায়ণ মূর্তির ভাষণকে ব্যবহার করেছেন। যেখানে মাননীয় মূর্তি বলেছেন- “দেশের অর্থনীতি ১৯৪৭-এর পর থেকে সর্বনিম্ন হতে পারে। তাই সরকারের উচিত আর্থিক সংস্কার করে সঠিক দিশা দেখানো। আমরা অর্থনীতিকে থামাতে পারবো না। সব মিলিয়ে ১৪0 মিলিয়ন কর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই একটি নতুন স্বাভাবিক সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। এই পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যেই আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করা উচিত।
উল্লেখ্য, বিগত ২৪ শে মার্চ জাতীয় লক-ডাউনের প্রথম দিন থেকেই নারায়ণ মূর্তির একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তাঁর মতে মানুষকে তিনটি কারণে এই ভাইরাসের সাথে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে- প্রথমত এর কোন টীকা নেই, দুই- করোনা ভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই এবং তিন- অর্থনীতিকে কোনো ভাবেই থামানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন যে বৈশ্বিক বাণিজ্য সংকুচিত হয়েছে, বৈশ্বিক ভ্রমণও প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। সেই সাথে বৈশ্বিক জিডিপি ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে সংকুচিত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষের জীবন নির্বাহ দুষ্কর না হয় সেদিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।”
তিনি এদিন কেন্দ্রীয় জনস্বাস্থ্য নীতির ও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন “ভারত ঐতিহ্যগতভাবে জনস্বাস্থ্যে যথেষ্ট বিনিয়োগ করেনি। একটি শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য প্রতিভা এবং উপাদান উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের তীব্র ঘাটতি আছে।”
মাননীয় নারায়ণ মূর্তির বক্তৃতাকে আশ্রয় করে আদতে রাহুল গান্ধী যে পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছেন সেটাই বলছেন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ রা। প্রসঙ্গত করনা অতিমারীতে আর্থিকভাবে ভেঙে পড়া সাধারণ মানুষের হাতে সরাসরি কিছু টাকা পৌঁছানো নিয়ে লকডাউনের প্রথম দিন থেকে সওয়াল করে আসছে কংগ্রেস।