দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ইতিমধ্যে রাশিয়া ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সবাই কে পেছনে ফেলে হাতে ট্রফি তুলে নিলেও সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে নিরাপদ এবং কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিই লক্ষ্য ভারতের বিজ্ঞানীদের। ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেকের আবিষ্কৃত কোভ্যাকসিনের প্রথম দফার পরীক্ষা বেশির ভাগ কেন্দ্রেই সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাফল্য কে নজরে রেখেই মানব শরীরে দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের জন্যে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারত বায়োটেক সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই শুরু করবে দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল।
বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রথম ট্রায়ালে নাগপুরের একটি বাছাই করা সেন্টারে মোট ৫৫ জন সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এই কর্মযজ্ঞের প্রধান জানিয়েছেন, ‘প্রথম ডোজ দেওয়ার পর মাত্র দু’জনের সামান্য জ্বর এসেছিল। তবে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাইরে থেকে কোনো ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।’ গত ১০ ও ১২’ই আগস্ট দ্বিতীয় দফার ডোজ দেওয়া হয় সাত জনকে। বৃহস্পতিবার মানে ১৩ তারিখ COVAXIN-এর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় ১৩ জনকে।
সুত্র মারফত্ খবর প্রাথমিকভাবে দিল্লির AIIMS ছাড়া বাকি সব কেন্দ্রেই ট্রায়ার সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল দিল্লি’র AIIMS ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্যে ১০০ জনকে নিয়োগ করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে পেরেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্যে মোট ১২টি কেন্দ্রে ৩৭৫ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ICMR সুত্রে খবর বায়োটেক প্রথম দফার ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফল শীঘ্রই জমা দেবে।
অন্যদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ভারতে Covishield-এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে। এই অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আসট্রাজেনেকা-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুত এই ভ্যাকসিন Covishield প্রস্তুতের কাজে হাত দিয়েছে। সংস্থার মুখ্য নির্বাহক আদার পূণাওয়ালা জানিয়েছেন যে তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু করতে পারবে।
অন্যদিকে জায়ডাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila) কোম্পানী-র তরফেও জানানো হয়েছে তাদের ভ্যাকসিন ZyCOV-D-র প্রথম দফার ট্রায়ার সম্পূর্ণ হয়েছে এবং দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে । জায়ডাস ক্যাডিলা’র পক্ষ থেকে গুজরাটের আমদাবাদের ১ হাজার সুস্থ মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।