দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: তাহলে কী গান্ধী পরিবারের মতের পরিবর্তণ হতে চলেছে? এবার কী তাহলে বাইরের কাউকে কংগ্রেসের শীর্ষ পদে দেখতে পাওয়া যাবে?। হ্যাঁ, এমনটাই জল্পনা চলছে কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেসের ১৩৫ বছরের ইতিহাসে এতদিন নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্যরাই দলের নেতৃত্বে থেকেছেন। কিন্তু এবার হয়তো তা পাল্টাতে চলেছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরাও চাইছেন দাদা রাহুল গান্ধীর মতাদর্শ অবলম্বন করতে। একটি বই’এ এমনই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য- রাহুলের সঙ্গে তিনি একমত। তাদের পরিবারের কারোরই কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া উচিত নয়। যদিও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই, নতুন করে জল্পনার জন্ম হয়েছে।
উল্লেখ্য গত লোকসভা নির্বাচনে পরায়জয়ের পর সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর পরবর্তী সভাপতি নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হলেও কাউকেই নির্বাচিত করা যায়নি। ফলত: অন্তবর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে বাধ্য হন সনিয়া গান্ধী। ওই সময়ই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরাকে সভাপতি পদে বসানো নিয়ে প্রচুর আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। তবে রাহুল গান্ধীই সেই সময় প্রিয়াঙ্কা’র বসা ‘উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে ‘India Tomorrow’ শীর্ষক বইতে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন- ‘ইস্তফা পত্রে নয়, তবে অন্যত্র রাহুল বলেছিলেন তাঁকে যে আমাদের কারোরই সভাপতি পদ গ্রহণ করা উচিত নয়। আমিও ওঁর সঙ্গে একমত।’
যদিও কংগ্রেসের অন্দরমহলে সনিয়া গান্ধী অন্তবর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে বিগত ১ বছরে দাবি উঠেছে একাধিকবার। অনেকেই চেয়েছেন রাহুলই ফের কংগ্রেসের হাল ধরুন। অন্যদিকে, স্থায়ী সভাপতি নিয়ে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যে নতুন করে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে।
আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া BJP-তে চলে যাওয়ার পর থেকেই গান্ধী পরিবারের দলের প্রতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এই ঘটনায় ইন্ধন যোগায় রাজস্থানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী। এর মাঝে গত ১০ অগস্ট অন্তবর্তী সভাপতি হিসেবে সনিয়া গান্ধীর মেয়াদও শেষ হয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে যদিও সভাপতি নির্বাচনের জন্য সঠিক পদ্ধতি স্থির না হওয়া পর্যন্ত সনিয়া গান্ধীই দায়িত্ব সামলাবেন। এমনটাই দলের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এতদিন সভাপতি নির্বাচন শুধু নামমাত্র রীতি ছিল। তবে গত কয়েক মাসে কংগ্রেস নেতারা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে সভাপতি নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন।