দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ভাদোদরার একজন শিক্ষক শিল্পী প্রজেশ শাহ একটি চকের উপর প্রভু গণেশের ছবি তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয় গণেশ চতুর্থীর চলমান ১০ দিনের উৎসবের মাঝে প্রজেশ শাহ একটি চক, একটি ম্যাচস্টিক এবং একটি খেলনা মার্বেল পাথরের উপর প্রভু গণেশের ছবি এঁকেছেন।
সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় শাহ বলেন- “আমি এত স্বচ্ছতা দিয়ে খোদাই এবং রং করার চেষ্টা করেছি যে ছবিগুলো দেখার জন্য আপনার কোন ম্যাগনিফাইং গ্লাসের প্রয়োজন নেই। আমিও একজন আর্ট টিচার। আমি এই টুকরাগুলোর মাধ্যমে আমার আবেগ প্রকাশ করেছে।”


তিনি আরও যোগ করেন যে “আমি ৩০ সেন্টিমিটার খোদাই করেছি চকের উপর, মার্বেল পাথরের উপর, আমি ১ সেন্টিমিটার পেইন্টিং করেছি। মূলত, আমি পরিবারে উপলব্ধ সব কিছু ব্যবহার করেছি শুধুমাত্র এই এক টুকরো শিল্পকর্ম তৈরি করার জন্য।”
এই প্রসঙ্গে লক্ষণীয় যে, গঞ্জাম জেলার বারহামপুর শহরের আরেক শিল্পী সত্যনারায়ণ মহারানা, যিনি ক্ষুদ্র ভাস্কর্য তৈরির জন্য পরিচিত, সম্প্রতি প্রভু গণেশের ক্ষুদ্রতম প্রস্তর মূর্তি বানিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় মহারানা বলেছিলেন- “আমি পাথরের উপর খোদাই করে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম প্রভু গণেশ কে বানিয়েছি। এর পরিমাপ ৩ মিমি, ৫ মিমি, ১ সেমি হয়। আমি জলে দূষণ কমানোর জন্য অ্যালুম (ফিটকারি) থেকে একটি ছোট গণেশ তৈরি করেছি। অ্যালুম সহজেই জলেতে দ্রবীভূত হয়ে যায়।”
গণেশ চতুর্থীতে ভক্তেরা বাড়িতে ভগবান গণেশের মাটির মূর্তি স্থাপন করেন এবং ১০ দিন ব্যাপী উৎসবের সময় তাদের পূজা করেন। এই উৎসব মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের একটি প্রধান আকর্ষণ যেখানে স্থানীয়রা অত্যন্ত উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে এটি উদযাপন করে। যদিও এই বছরে করোনা মহামারীর কারণে সেই উত্সবে ভাটা পড়েছে। বিধি নিষেধের কারণে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট এই দুই যায়গাতেই এবার সেভাবে প্রকাশ্যে গণেশ চতুর্থী পালন হয় নি।