দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বিদ্রোহ, উত্তেজনা, ইস্তাফা, শোরগোল, এগুলো আজ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের বৃহত্তর নাটকের বিভিন্ন পর্ব। আর যবনিকা পতনে দেখা গেল নেতৃত্ব পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্তই হল না। মসনদে রয়ে গেলেন সেই ‘সোনিয়া’ ই।
‘সোনিয়া গাঁধীর উত্তরসূরি’ এই ছিল সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৃহত্তর নাটক। এমনকি, এই কমিটির সদস্যদের একাংশ যাঁরা বর্ষীয়ান নেতাও, সরাসরি রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে সরব হলেন। টুইটে সর্বসমক্ষে আনলেন আন্তরিক বিক্ষোভ ও অভিমান। যদিও শেষ পর্যন্ত ওয়ার্কিং কমিটির অনুরোধে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
আজ সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত ৭’ই আগস্ট নেতৃত্ব পরিবর্তন চেয়ে ২৩ জন নেতার চিঠি পৌঁছয় সোনিয়া গান্ধীর কাছে। সেই চিঠি ঘিরে দলের অন্দরে প্রবল চাপান উতোর শুরু হয়। আর তার মধ্যেই সোমবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক।
বৈঠকের একদম গোড়াতেই রাহুল গাঁধীর আল টপকা মন্তব্য ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধী দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে পরে আজকের বৈঠকে তাঁর উত্তরসূরি মনোনয়নের বিষয়টিই মূল আলোচ্য ছিল। কিন্তু জানা যায় যে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন চেয়ে ২৩ জন নেতা চিঠি লেখার পরেই সোনিয়া দলের শীর্ষ পদে থাকতে অনীহার কথা জানিয়ে ‘পূর্ণ সময়ের সভাপতি’ মনোনয়নের সুপারিশ করেছিলেন।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, আজ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের শুরুতেও অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদ থেকে তিনি ‘নিষ্কৃতি’ চান। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ তাঁর ভার্চুয়াল বক্তৃতায় জানিয়ে দেন, সোনিয়ার নেতৃত্বের প্রতি দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। মনমোহনকে সমর্থন করেন এ কে অ্যান্টনি।