দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : আমরা সকলেই নোটের কালোবাজারি হওয়ার কথা জানি। তবে এই জালনোট কারবার বন্ধে ‘নোট বন্দির’ উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে নোট কালোবাজারির সংখ্যাও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভ ব্যাংক -এর তথ্য কিন্তু অন্য কথা বলছে। ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ফের জালনোটের কালোবাজারি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রিজার্ভ ব্যাংকের এক গাইডলাইনে এমনি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট উঠে আসল।
রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯-২০ কুড়ি অর্থবর্ষে অনেকটাই বেড়েছে ৫০০ ও ২০০ টাকার জালনোটের কারবারের সংখ্যা। আমরা ৫০০ ও ১০০০ এর জালনোট কারবারির কথা তো আগে হামেশাই শুনেছি তবে এখন জালনোটের কারবার শুরু হয়েছে ছোট নোট মানে ৫০,১০০ এমন কী ১০ টাকার নোটেও।
এই জালনোট কারবার বন্ধ করার জন্যই নোটবন্দি উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও রয়ে গিয়েছে জালনোটের এই সমস্যা। গতকাল প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী এই অর্থবর্ষে ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে ৩০ হাজার ৫৮ টি। ৫০০ টাকার জালনোট ছাপানো এক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ। এই রিপোর্ট অনুযায়ী বেড়েছে ৫০ টাকার জালনোটের সংখ্যাও। এক বছরে ৫০ টাকার জাল নোট বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮.৭ শতাংশ। এমনকি বেড়েছে 200 টাকার জাল নোটের সংখ্যাও। তবে হয়রান করে দেওয়া তথ্য রয়েছে ১০ টাকার নোট নিয়ে। গত এক বছরে ১০ টাকার জালনোট বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪৪.৬%। কিন্তু তুলনামূলক ৫০টাকার নোট বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮.৭৫%।
অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে ৩০ হাজার ৫৮। ২০০ টাকার জাল নোট ২০১৮-১৯অর্থবর্ষে উদ্ধার ১২ হাজার ৭২৮। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কোনো ২০০ টাকার নোট ছাপানো হয়নি।২০০০ টাকার জাল নোট ২০১৮-১৯ শতবর্ষে উদ্ধার হয়েছে ২১ হাজার ৮৪৭ টি । ২০০০ টাকার নোট ছাপানো এক বছরে কমেছে ২২.১ শতাংশ।