দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা লকডাউনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের এতদিনের উৎকণ্ঠায় আজ ইতি পড়লো। করোনা লকডাউনের জেরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা বাতিলের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, পরীক্ষা নিতে হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চুড়ান্ত বছরের পরীক্ষার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও পিছোতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে আবেদন করতে হবে ইউজিসির কাছে। এই মর্মে রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহের বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসি নির্দেশিকা বাতিলের আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পড়ুয়ারা পরীক্ষা না দিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারবেন না, অতএব ইউজিসি-র নির্দেশই বহাল থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার পরীক্ষার সময়সীমা পেছোতে পারে কিন্তু পরীক্ষা বাতিল করতে পারবে না। পড়ুয়াদের তরফে আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তব বলেছেন, বেলা সাড়ে দশটায় শীর্ষ আদালত এই রায় জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার মধ্যে পরীক্ষার সম্ভাবনায় পড়ুয়ারা অত্যন্ত আতঙ্কি হয়ে রয়েছেন। পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে বাড়ি ছেড়ে তাঁদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হবে, আর সেক্ষেত্রে অনেক পড়ুয়াকেই গণ পরিবহনের সহয়তা নিতে হবে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের ভিন্ন ভিন্ন বিধিনিষেধ, ফলে তাঁদের সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই জিয়ে রইল। সুপ্রিম কোর্ট আজ যে রায় দিলেন তাতে পড়ুয়াদের সমস্যা দূর তো হলই না উপরন্তু রাজ্য সরকার এবার কী সিদ্ধান্ত নেয় তার অপরেই তাদের অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবে। হয় ৩০ শে সেপ্টেম্বেরের মধ্যেই তাদের পরীক্ষায় বসতে হবে নতুবা কবে সে পরীক্ষা হবে তার জন্যে আবার অধীর অপেক্ষা।
এর আগে পড়ুয়ারা ভেবেছিলেন, ১৮ অগাস্ট অর্থাত্ শেষ শুনানির দিনই আদালত এই ব্যাপারে রায় দেবে। কিন্তু আদালত সেদিন চূড়ান্ত বক্তব্য রাখার জন্য সব পক্ষকে আরও ৩ দিন সময় দিয়ে রায়দান স্থগিত রাখে।
উল্লেখ্য, গত ৬’ই জুলাই ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন গাইডলাইন ইস্যু করে। তারা জানায়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া অত্যাবশ্যক। কাগজ কলম বা অনলাইন অথবা উভয় মিলিয়ে এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতেই হবে। এরপরই এই নির্দেশে কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের ৩১ জন পড়ুয়া এবং মহারাষ্ট্রের যুব সেনা একটি আবেদন করে। গত ৩১’শে জুলাই থেকে শুনানি শুরু করে শীর্ষ আদালত। আজ ২৮’শে আগস্ট সেই আবেদনের চুড়ান্ত রায় জানালো ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।