দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
অগনিত বলিদান ও সংগ্রামের পর এসেছিল দেশের স্বাধীনতা। আজ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে গোটা দেশ গর্বিত। আজ থেকে ৭৫ বছর আগেই পরাধীনতার গ্লানি মুছে ব্রিটিশ মুক্ত হয়েছিল ভারত। কিন্তু স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে একাধিক ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক পরিবর্তনেরও সাক্ষী থেকেছে ভারত।
পরমাণু শক্তিধর দেশের তালিকাতে নাম তুলেছে ভারত। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ১৯৫৬ সালের ৪ অগাস্ট এশিয়ার প্রথম পারমাণবিক চুল্লি অপ্সরা পারমাণবিক চুল্লীর নকশা ও নির্মাণ হয়েছিল ভারতে। বর্তমানে গোটা দেশে ৭ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২১ টি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে।
অন্যদিকে দেশের উপগ্রহ আর্যভট্ট তৈরি হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। তারপর থেকে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি ভারতের মহাকাশ সংস্থা ISRO-র মঙ্গল মিশনও ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে। অন্যদিকে চাঁদের রহস্য উদঘাটন করতে চন্দ্রযানও উৎক্ষেপণ করেছে ভারত।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের জাতীয়করন। স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে ভারতীয় রেলের জাতীয়করণ করা হয় বলে জানা যায়। বর্তমানে রেল প্রতিদিন ২৩ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।


অন্যদিকে সকলের শিক্ষার অধিবারের পাশাপাশি ভারতীয় শিশুদের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে ভারত সরকারের তরফে। চালু হয়েছে মিড ডে মিল স্কিম। সদ্য সমাপ্ত অলিম্পিকে ইতিহাস রচনা করেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটগণ।
বর্তামানে সাড়া দেশে প্রায় ২৯টি ভাষায় কথা বলে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে ১৬৫০টির বেশি উপভাষার চল রয়েছে গোটা দেশে। পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার জন্য সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে এই ভারতে। ভারতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা রাজনীতিবিদও রয়েছেন। বিশ্বের সমস্ত দেশের মধ্যে ভারত প্রথম রাষ্ট্র যেখানে এখন মহিলা দেশের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। আর এই কৃতিত্ব রয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর।
শুধু এই ক্ষেত্র গুলি ছাড়াও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ভারত। পার্বত্য যুদ্ধে সর্ব শ্রেষ্ট ভারতীয় সেনা। জল , স্থল , বাতাস বৃহৎ শক্তিশালী ভারত। বর্তমানে চলতে থাকা বিশ্ব মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ছে ভারত। টিকা দানের নজির গড়েছে দেশ। তার মধ্যেও সব থেকে বড় উপলব্ধি হল ভারতের গণতন্ত্র ও ঐক্য আর বৈচিত্র্য। তাই আমরা গর্বিত ভারতীয় হিসাবে।
জয় হিন্দ
বন্দেমাতরম
ভারত মাতা কি জয়
লেখা – পল্লব চক্রবর্তী