দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জাতীয় সংকট তৈরি হয়েছে। এই কঠিন সময়ে গুয়াহাটির সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী শুধু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষার কাজেই নিয়োজিত নন বরং তাঁরা সীমান্ত প্রধান কোয়ার্টারে লড়াই করছেন করোনার বিরুদ্ধেও।
গুয়াহাটিতে দেশের সীমান্ত রক্ষাকর্তারা নিজেদের প্লাজমা অনুদানের মাধ্যমে সমাজকল্যাণে যথা সম্ভাব্য সকল প্রকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের আক্রান্ত হওয়ার পরে নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে শুরু করে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় জীবন পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করছে এই সেনাদের প্লাজমা।
গুয়াহাটির বাংলাদেশ সীমান্তের হেড কোয়ার্টারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে উদ্ধার হওয়া বিএসএফ জওয়ানরা গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাদের অ্যান্টিবডি স্ট্যাটাস দেওয়ার পরে তাদের কনভলসেন্টেন্ট প্লাজমা দান করেছেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে উদ্ধার হওয়া বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার এবং গুয়াহাটির আরও অনেক কর্মী কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় তাদের রক্তরস দান করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত বিএসএফের পাটগাঁও সীমান্ত সদর দফতরের হাসপাতাল একটি নিবেদিত কোভিড কেয়ার সেন্টার। নিবেদিত চিকিৎসা ও প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় যা ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টারে পরিণত হয়েছে। তাঁরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রয়োজনীয়তা বুঝে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা গুয়াহাটি সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নীতিমালাও অনুসরণ করছেন। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষা ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সীমান্ত সেনারাও কোভিড-১৯ মহামারীর মতো জরুরী পরিস্থিতিতে সীমান্তের আশেপাশে থাকা জনগণকে সহায়তা করছেন এবং প্রয়োজনীয় মানুষদের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
প্রসঙ্গত, অসম সরকার গত ১৬’ই জুলাই থেকে প্লাজমা অনুদান প্রচার শুরু করেছে। যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করতে মাঝারি উপসর্গযুক্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ সাহায্য করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার তাদের সরকারী স্কিমগুলি অনুযায়ী আসামের প্লাজমা দাতাদের অগ্রাধিকার দেবেন এবং তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় অগ্রাধিকারে একটি বাড়িও বরাদ্দ করা হয়েছে।