দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: দীর্ঘ তিন মাসের লকডাউন শেষে, ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ধাপে ধাপে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়’র পর এবার আনলক ফোরের পথে দেশ। কার্যত সে বিষয়েই নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১’লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আনলক চতুর্থ পর্ব। চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মন্ত্রকসুত্রে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭’ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশ জুড়ে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা। তবে মেট্রোতে যাতে অহেতুক ভিড় না হয় সেজন্য রাজ্যগুলিকে আগাম সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও ১’লা সেপ্টেম্বর থেকে প্রত্যেকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ জন জমায়েতের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে এই পর্বে লকডাউন ঘোষণার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চাপাচ্ছে কেন্দ্র। যার জেরে নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
উল্লেখ্য, ৩০’শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক স্তরের স্কুলের ক্ষেত্রে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে পিতা-মাতার লিখিত অনুমতি পত্র সাথে থাকা একান্ত আবশ্যক।
এছাড়া গাইডলাইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কনটেইনমেন্ট জোনে যেমন লকডাউন থাকছে তা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু চাইলেই কোনো রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে ইচ্ছেমতো লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না। গোটা রাজ্য, জেলা, মহকুমা, শহর এমনকী গ্রামীণ স্তরেও লকডাউন জারি করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।




এই কড়া নির্দেশের পর আগামী সেপ্টেম্বরে ৭, ১১ ও ১২ তারিখ রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। তবে আগামী ৩১ অগস্ট রাজ্যে যে লকডাউন রয়েছে তা হবে। করোনা মোকাবিলায় পুরসভা ভিত্তিক লকডাউন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। বারাসত, দক্ষিণ দমদমের মতো বেশ কয়েকটি পুরসভায় সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসনগুলি। এদিনের নির্দেশিকা অনুযায়ী আর এই ধরনের লকডাউন করতে পারবে না রাজ্যগুলি। তাহলে কি কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে সাপ্তাহিক লকডাউন প্রত্যাহার করবে রাজ্য সরকার? সে বিষয়ে এখনো কোনো সঠিক মন্তব্য করেনি রাজ্য সরকার বা মমতা ব্যানার্জী নিজেও।
এছাড়া ২১’শে সেপ্টেম্বরের পর থেকে রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরের শিক্ষা প্রতষ্ঠানগুলিতে নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকা, পড়ুয়া এবং অশিক্ষক কর্মীরা যেতে পারবেন। তবে কেন্দ্রের তরফে সিনেমাহল, সুইমিংপুল, থিয়েটার, পার্ক আপাতত বন্ধই রাখার নির্দেশ। কিছুদিনের মধ্যেই ‘ ডু অ্যান্ড ডোন্ট’ নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর গাইডলাইন ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।