দ্য ক্যালকাটা মিরর: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অভিযুক্ত ডঃ কাফিল খানের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
লক্ষণীয়, সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট কে ডঃ কাফিল খানের মুক্তি সংক্রান্ত পিটিশনের সিদ্ধান্ত এবং নিষ্পত্তি ১৫ দিনের মধ্যে করতে বলার কয়েকদিনের মধ্যেই এই অধ্যাদেশ জারি হলো।
মুখ্য বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর এবং বিচারপতি সৌমিত্র দয়াল সিং এর ডিভিশন বেঞ্চে ডঃ খানের স্ত্রীর দায়ের করা ‘হাবিয়াস কর্পাস’ রিট পিটিশনের শুনানি ছিল। যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে ডঃ খানকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়। কোর্ট তাদের অর্ডারে জানান-” রাষ্ট্রীয় হেফাজত থেকে ডঃ কাফিল খানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য হাবিয়াস কর্পাসের প্রকৃতিতে একটি রিট জারি করা হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সিএএ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উস্কানিমূলক বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে খানকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে।
২৯’শে জানুয়ারি এই মামলায় প্রাথমিক গ্রেফতারীর পর যেদিন মথুরা জেল থেকে তার জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সেদিনই আবার তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনের আওতায় নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি ওইদিন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে উত্তর প্রদেশ সরকার দ্বারা অভিযুক্ত হন।
ডঃ কাফিল খানের পরিবারের অভিযোগ তাকে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ইচ্ছে করেই গ্রেফতার করেছে কারণ ডঃ খানের কার্যকলাপ তাদের কাছে বিজেপি সরকার বিরোধী বলে মনে হয়েছে। যে কারণে ১০’ই ফেব্রুয়ারী আলীগড় আদালতে জামিন মঞ্জুর হওয়া স্বত্ত্বেও তাকে নতুন করে গ্রেফতার করা হয় এবং বিনা কারণ দর্শীয়েই তাকে দীর্ঘদিন জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে।