দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
যদি খাদ্যের জন্য ভারতকে বিবেচনা করা যায়, তাহলে শেষ হবে না আলোচনা। স্বাদ, রন্ধন আর বিচিত্র মশলার দিক দিয়ে ভারত অনেকটা এগিয়ে। সুদূর দক্ষিণের থাঞ্জাভুরে ভারত পেল তার প্রথম খাদ্যের জাদুঘর। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধন করেন দেশের প্রথম খাদ্যের জাদুঘর। পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন , “তামিলনাড়ু এখন ভারতের কৃষি ইতিহাসের বাড়ি হবে। তাঞ্জাভুর হল তামিলনাড়ুর সাংস্কৃতিক রাজধানী। এটি ভারতের কৃষি ইতিহাসের বাড়ি হবে।
বেঙ্গালুরুর শিল্প ও প্রযুক্তিগত জাদুঘরের সহযোগিতায় FCCI চালু করেছে এই মিউজিয়াম। এই কারণেই খাদ্যের মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হল তামিলনাড়ুর এই শহরে। এই জাদুঘরটি স্থাপনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১.১ কোটি টাকা। এটি ভারত এবং বিশ্ব জুড়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের দৃশ্য এবং সংরক্ষণ দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে। খামার থেকে ভোক্তাদের প্লেট পর্যন্ত খাদ্যশস্যের যাত্রা ডিজিটাল ভাবে উপস্থাপন করবে এই জাদুঘর।
জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হল মানচিত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের খাদ্যশস্য এবং খামার পণ্যের লাইভ মডেল এবং রেসিপি সহ তাদের বিখ্যাত খাদ্য সামগ্রী প্রদর্শন করা। দর্শনার্থীরা জাদুঘরে যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন সেই সম্পর্কে ২০টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য শেষে একটি কুইজ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন।
তাঞ্জাভুরের নির্মলা নগরে এফসিআই বিভাগীয় কার্যালয়ের জাদুঘরটি সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এখানে প্রবেশের জন্য কোনও এন্ট্রি ফি এর প্রয়োজন নেই।
লেখা —- পল্লব চক্রবর্তী