দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ঠান্ডা লড়াইয়ে ক্রমশ চীনের ওপর ভারী চাপ তৈরি করছে ভারত। পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে সীমান্তের প্রবল উত্তেজনা নিরসনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক চায় চীন।
চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই মূহুর্তে রাজনাথ সিং রাশিয়ায় রয়েছেন। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। এই একই বৈঠকে উপস্থিত আছে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। মুখমুখী এক সাক্ষাতে তিনি সাংহাই মিটের বাইরেআলাদা করে রাজনাথের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রস্তাব দিয়েছেন। যদিও, রাজনাথ সিং এই বিষয়ে কিছু বলতে চান নি।
এর আগেও সীমান্ত ইস্যুতে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কয়েক বার বৈঠক করতে চেয়েছিল। গত মে মাস থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার চীন ভারতের কাছে বৈঠকের আর্জি পেশ করল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সারজেই সইগু-এর আমন্ত্রণে রাজনাথ সিং তিন দিনের সফরে এখন মস্কোয় উপস্থিত রয়েছেন। এসসিও-র সদস্য হওয়ায় এই তিন দিনের বৈঠকে চীন এবং পাকিস্তানও রয়েছে। লাদাখ ও কাশ্মীর নিয়ে বর্তমান উত্তেজনার আবহে আগেই ঠিক হয়েছে সেখানে পাকিস্তান ও চীনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসবেন না রাজনাথ সিং।
পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর, কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে বারবার আলোচনা চলছিল। দুই দেশের করপোরাল সেনা স্তরে বৈঠকে পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু, প্যাংগং লেক ঘিরে চীনের অনুপ্রবেশের কারণে বিগত পাঁচ দিন ধরে নতুন করে উত্তেজনাতৈরি হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার ৪-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে নেয় ভারতীয় সেনা। ফলে ওই অঞ্চলটি এখন ভারতের নিয়ন্ত্রণে। গত জুন থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রথম সেনা ও স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স ফিঙ্গার ৪-এ এতবড় সাফল্য পেল। এর ফলে প্যাংগংয়ের উত্তরে একেবারে মুখোমুখী হয়ে পড়ল ভারত ও চীনা সেনা।
শনিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত বেশ কয়েক বার প্যাংগং লেকের দক্ষিণ অংশে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে লালফৌজ। অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে ভারতীয় সীমানায় চুমারে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চীনা সেনা। সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারত। পালটা ব্যবস্থা হিসেবে, চুশুলের কাছাকাছি বেশ কয়েক’টি এলাকায় ঢুকে পড়ে ভারতীয় সেনা।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া সফরে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সিডিএস বিপিন রাওয়াত ও সেনাপ্রধান নারাভানেকে নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন রাজনাথ সিং।