দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
‘বাবরি তো ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায়।’ নয়ের দশকে করসেবকদের স্লোগান ভোলার নয়। সেই স্লোগানের সুরে মথুরায় প্রথম পদক্ষেপ নিচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়। আজ ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তির দিনে শাহি ঈদগাহ মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার আশঙ্কায় মন্দির ও মসজিদ চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে মন্দির নগরীর প্রশাসন।
ইতিমধ্যে অযোধ্যার বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানে রামমন্দির নির্মাণের রায় শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়কে। ‘অল ইন্ডিয়া আখড়া পরিষদ’ জানিয়েছিল, রাম মন্দিরের নির্মাণ শেষ হলে মথুরা ও কাশীর মন্দির গুলিকে ‘মুক্ত’ করা হবে। শাহি ঈদগাহ মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি স্থাপনের ভাবনা।
কাটরা কেশব দেব চত্বরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। এখানে শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ও শাহি ঈদগাহ মসজিদ নিয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক বিরোধ। শহরের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে প্রত্যেক প্রধান রাস্তায় পুলিশি ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। মন্দির ও মসজিদে উভয় স্থানে প্রবেশে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। আধ্যাত্মিক শহর মথুরায় রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির। হিন্দুদের বিশ্বাস মতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান, সেই চত্বরে রয়েছে শাহি ঈদগাহ মসজিদ।
স্বাভাবিকভাবেই দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে তৈরি হয় সংঘাত। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ।