দ্য ক্যলকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা আবহে বাঙালীর পকেট জুড়ে শুধুই মন্দার হাওয়া, আর অন্য দিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি। এক কথায় নিশ্বাস ফেলারও মূল্য চোকাতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলকেই। ইতিমধ্যেই আলুর দাম দেখে চোখ কপালে ওঠার যোগার। আলু, শাক-সব্জি’র পর বাকি ছিল ডিমের, এবারও তা ষোল কলা পূর্ণ হলো। দাম বাড়লো ডিমের।
করোনার আবহে গোটা দেশ সহ রাজ্যে খাদ্যের অভাব যথেষ্ট। অর্থনৈতিকও মন্দার ওপর আমপান ঝড়ের তান্ডব গ্রাম বাংলার শিরদাঁড়া ভেঙে দিয়েছে অনেকটাই। একদিকে চাল-ডাল নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত। রেশন দুর্নীতি আর অন্যদিকে আমপানের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এই দুইয়ের চাপে শাক-সব্জি থেকে শুরু করে ফলমূল দাম বেড়েছে চরচর করে। আলুর দাম বৃদ্ধি আগুন হতেই এনফোর্স ডিপার্টমেন্ট ময়দানে নেমেছেন যাতে দাম ২৭ টাকার কাছাকাছি থাকে। সেই দামে শুক্রবার থেকে গোটা রাজ্যেই আলু বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে। এবার তাঁরই সাথে যোগ দিল ডিমের দাম।
‘সান ডে হো ইয়াহ মন ডে, রোজ খাও আণ্ডে’ জাতীয় ডিম কর্পোরেশনের এই স্লোগান এখন বড় তেঁতো। গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডিমের দাম। শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয় ডিমের দাম বাড়ছে দেশজুড়েই। শুক্রবার বাজারে কিছুটা দাম কমার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও সেটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। হোলসেল মার্কেট প্রতি পিস ৫ টাকা আর খুচরো বাজারে তা ৬ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের শেষ থেকেই বাড়ছিল ডিমের দাম। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তার দাম হয় আকাশ ছোঁয়া। রিটেলারদের জন্য ২১০টি করে ডিমের পেটি থাকে। আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের শুরুতে একটি ডিমের পেটির দাম বেড়েছে হুহু করে। আগস্টের শেষে পেটি প্রতি ডিমের দাম ৯৮০ থেকে হাজার আর সেপ্টেম্বরের শুরুতে সেই দাম পৌঁছেছে ১০২০ থেকে ১০৩০ টাকায়।
কলকাতায় হোলসেল মার্কেটে গত ২৯’ শে আগস্ট প্রতি ১০০ টি ডিমের দাম ছিল ৪৬৪ টাকা। ৩০’শে আগস্ট সেই দাম পৌঁছায় ৪৭৫ টাকায়। ৩১’শে আগস্ট তা হয় ৪৮৩ টাকা। টানা তিনদিন পর্যন্ত ১০০টি ডিমের দাম হয় ৪৮৩ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার অর্থাত ৩ সেপ্টেম্বর সেই দাম পৌঁছায় ৪৮৪ টাকায়। শুক্রবার অবশ্য তাঁর দাম কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছি ৪৬০ টাকায়। এ প্রসঙ্গে ‘দ্য কলকাতা এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে’র সাধারণ সম্পাদক কাজল দত্ত বলেন,”আনলক পর্বে দোকান খুলতেই কিছুটা চাহিদা বেড়েছে ডিমের। তাই ডিমের দাম বেড়েছে। ফাস্টফুড ও রেস্তোরাঁ সব নিয়মিত খোলা থাকলে ডিমের দাম আরও অনেকটাই বাড়ত। পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদনের থেকে ডিমের চাহিদা দেড় গুণ বেশি। কাজলবাবু আরও জানান দেশের মার্কেটে ডিমের দাম সাময়িক কিছুটা নামার আভাস থাকলেও পুজোর আগে সেভাবে দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই।”