দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী ! Omicron-র হাতে ধরে আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে আছড়ে পড়তে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গত দু’টি ঢেউয়ের তুলনায় কিছুটা কম হবে এই ওয়েভের প্রভাব।হাসপাতাল উপচে পড়ার সম্ভাবনা কম। সংক্রমণ শিখর ছুঁলেও তা এক মাসের মধ্যে নিম্নমুখী হবে। তৃতীয় ঢেউয়ের মেয়াদ হতে চলেছে কেবলমাত্র এক মাস! সবটাই প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
IIT কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল এবং IIT হায়দরাবাদের এম বিদ্যাসাগর আগেই দেশে কোভিড সংক্রমণের গতিবিধির ভিত্তিতে সূত্র মডেলের তৈরি করেছিলেন। সেই সূত্র মডেল বলছে প্রথম দু’টি ঢেউয়ের তুলনায় কম হতে পারে তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষমতা। তবে হু হু করে ছড়াবে সংক্রমণ। ফের দৈনিক সংক্রমণ ছুঁতে পারে এক থেকে দু’লাখের গণ্ডি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার দৈনিক সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে এমনটা সম্ভব হবে, যদি Omicron মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ ধোঁকা দিয়ে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ভারতে যত মানুষ আগে করোনা সংক্রমিত হয়েছে সকলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। রয়েছে টিকাকরণের প্রভাব। IIT-র দুই অধ্যাপক মনে করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ছবি ভারতেও আশা জোগাতে পারে। তবে সতর্কতার বিকল্প নেই। তবে Omicron নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবাচ্ছে ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি। ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক কোভিড সংক্রমণ সারা বিশ্বে সংক্রমণের ৩৪ শতাংশ।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানান হয়েছে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রায় ৪৫ হাজার Omicron সংক্রমণের খবর রয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের শুরুতে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে Omicron সংক্রমণ। বাড়বে হাসপাতালের ভিড় এবং মৃত্যু। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে তার ইঙ্গিত। চলবে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নতুন প্রজাতি ছড়িয়েছিল ডেল্টার তুলনায় তিনগুণ গতিতে। সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছনোর পর তার পতন হয়।
দ্রুত গতিতে কমে আসছে সংক্রমণের হার। মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে Omicron-র প্রথম সংক্রমণের পর তিন সপ্তাহের মধ্যে তা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই তা কমতে শুরু করে দিয়েছে।