দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ওমিক্রনে জেরবার গোটা দেশ তথা বিশ্ব। নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি। এই পরিস্থিতিতে আরও দুটি টিকা কোভাভ্যাক্স এবং কোরবেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দিল DCGI। এদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ক্ষেত্রে মলনুপিরাভির ড্রাগটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেটি মৃদু উপসর্গ যুক্ত রুগীদের ক্ষেত্রে উপযোগী।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য টুইট করে জানান, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও শক্তিশালী করার জন্য কোরবেভ্যাক্স এবং কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ মলনুপিরাভিরও কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে। ভারতের ১৩টি কোম্পানি মলনুপিরাভির তৈরি করবে। করোনায় আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।
বর্তমানে ভারতে মোট আটটি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই টিকাগুলি হল- কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, জাইকোভ ডি, স্পুটনিক ভি, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, কোরবেব্যাক্স, কোভাভ্যাক্স। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেই সময় স্বস্তি ফেরাচ্ছে দেশের নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৩ জন। করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। সেখানে ওমিক্রনে আক্রান্ত ১৬৫, তেলঙ্গানায় ৫৫ জন, গুজরাটে ৪৯ জন, তামিলনাড়ুতে ৩৪ জন, কর্নাটকে ৩১ জন।
এদিকে, ১০ জানুয়ারি থেকে দেশে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বড়দিনে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। নতুন করে আরও দুই টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।