দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
আগামী ১ মাস সঙ্কটজনক। অবিলম্বে বেড সংখ্যা বাড়ান। ওষুধ, অক্সিজেন মজুত করুন। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দফতরের সাহায্য নিন। যেসব হাসপাতালে কোভিড টেস্ট হয়, কোন এলাকা থেকে তাদের কাছে বেশি কেস আসছে, সেটা জানান। গুরুতর বা আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য বেড খালি রাখুন।” বেসরকারি হাসপাতাল গুলির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
রাজ্যে করোনার থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। ইতিমধ্যেই দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন , করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও কলকাতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের ‘হটস্পট’ যে ৮ জেলায় করোনার অধিক সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তারমধ্যে অন্যতম কলকাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যে নয়া কোভিড ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬-তে। রাজ্যে করোনার সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪৭ শতাংশে।
এই পরিস্থিতিতে কোভিড চিকিৎসা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বেসরকারি হাসপাতাল গুলির সঙ্গে বৈঠকে করেন স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে বেড বাড়ানোর পাশাপাশি ওষুধ, অক্সিজেন মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের জন্য প্রতি পুরসভা এলাকায় একটি করে স্কুল চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে যেমন ১৪টি বরোয় ১৬টি স্কুলে হবে টিকাকরণ।
রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য ডেডিকেটেড ভ্যাকসিন সেন্টার রাখারও পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ত ডেডিকেটেড ভ্যাকসিন সেন্টারের শুরুটা আপাতত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে দিয়েই হবে। টিকাকরণের জন্য মজুত করা হবে কোভ্যাক্সিন। অন্য মেডিক্যাল কলেজ গুলিতেও শুরু হয়ে যাবে। উল্লেখ্য রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে মোট ৪৮ লক্ষ ২৩ হাজার কিশোর-কিশোরীকে টিকা দিতে হবে।