দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কোভিড চিকিৎসার নয়া বিধি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। জানানো হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ করোনা চিকিৎসায় এবার মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি চালু করতে হবে। কিন্তু ওমিক্রন চিকিৎসায় এই থেরাপি কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সন্দিহান স্বাস্থ্যকর্তারা। জরুরি পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য মলনুপিরাভিরকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। সেই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। আক্রান্তরা টানা পাঁচদিন এই ওষুধ খেতে পারবেন। ১২ ঘণ্টা অন্তর অর্থাৎ দিনে দু’টি ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত রোগীদের জ্বর এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্যারাসিটামল চালু করতে হবে। দেওয়া হবে ভিটামিন-সি ট্যাবলেট-ও। এই ধরনের রোগীদের যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ চালু করতে হবে। বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিমান মতো বুডিসোনাইট ৮০০ ইনহেলার স্প্রে চালু করতে হবে। ওই ওষুধটিও দিনে দু’বার করে ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে।
মৃদু উপসর্গের রোগীদের জন্য স্টেরয়েড ব্যবহার করা চলবে না। তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার উপসর্গ কী কী, নয়া নির্দেশিকায় তা জানিয়েছে রাজ্য। বলা হয়েছে, যদি দম নিতে কষ্ট হওয়ায়। ঘরোয়া পরিবেশে সংক্রমিতের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫-এর নিচে নেমে যাওয়া। টানা দু-তিন দিন ১০২ ডিগ্রির বেশি জ্বর। বারবার ঘুরে আসবে সেই জ্বর। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডি-ডাইমার পরীক্ষা করতে হবে।
যেসমস্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তরা হোম আইসোলেশন কিংবা সেফ হোমে থাকবেন প্রতি ঘণ্টায় তাঁদের নাড়ি দেখতে হবে। দিনে দু’বার অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। যদি দেখা যায় অক্সিজেন দেওয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতি না হলে প্রনিং পজিশনে শোয়াতে হবে রোগীদের।