দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই মর্মে নয়া পোস্টার বারাণসীর বিভিন্ন ঘাটে। ঘাট সংলগ্ন দেওয়ালে পোস্টার টাঙাল হিন্দুত্ববাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। ইতিমধ্যেই বিতর্ক ঘনিয়েছে এমন পোস্টার ঘিরে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন পোস্টার? বজরং দলের বারাণসী শাখার প্রধান নিখিল ত্রিপাঠী রুদ্রর সাফ কথা, এই ঘাট গুলিকে অনেকেই পিকনিক স্পট বলে মনে করেন। তাঁদের কড়া বার্তা দিতে এমন পোস্টার। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা গঙ্গার ঘাট গুলিকে পিকনিক স্পট বলে মনে করেন, তাঁদের দূরে রাখার জন্যই এই পোস্টার। এটা পিকনিক স্পট নয়, সনাতন সংস্কৃতির প্রতীক।’’
একই সুর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বারাণসী সচিব রজন গুপ্তর গলাতে। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা সনাতন ধর্মকে শ্রদ্ধা দেখাতে আসবেন, তাঁদের স্বাগত।’’ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যাঁদের মনে সনাতন ধর্মের প্রতি কোনও আস্থা নেই, তাঁদের মন্দির ও গঙ্গাঘাটে আসার কোনও অধিকারই নেই। পরিষ্কার ফতোয়ার সুর, ‘এটা কোনও অনুরোধ নয়, বরং হুমকি।’ স্বাভাবিক ভাবেই, যোগীরাজ্যের গঙ্গাঘাটে এমন পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই বারাণসীর এই সব ঘাটে সারা বছর ধরেই বিপুল পরিমাণে পুণ্যার্থীদের আনাগোনা। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশই বিদেশি পর্যটক।
তারা কথাবার্তা বলেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও। বিদেশি ও ভিন রাজ্যের মানুষদের আনাগোনাতেই গঙ্গার ঘাটে এমন সমাগমকে রঙিন চরিত্র দিয়েছে। কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা এবার সরব হয়েছেন সেই চরিত্রকে বদলে ফেলতে। ঘাটে বসে ধূমপানের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তাদের। সরাসরি পোস্টার লাগিয়ে বিরোধিতা করে হুমকি দেওয়া হল। এর আগে বছরের শুরুতে এলাকার চাঁদমারি অঞ্চলে এক চার্চের সামনে হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে দেখা গিয়েছিল হিন্দুত্ববাদীদের।