দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভারত তৃতীয় ঢেউয়ের শীর্ষে পৌঁছবে। চলতি সপ্তাহে মাদ্রাজ IIT-র গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভারতের R-naught–র মান ৪। গবেষকদের দাবি, এই মান ইঙ্গিত করে দেশে সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে যথেষ্ট বেশি। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি ঠিক কত জনকে সংক্রমিত করতে পারেন, তারই নির্দেশক R0। এই ‘আর-নট’-এর মান একের নীচে নেমে গেলে মনে করা হয় মহামারী তার অন্তিম পর্য়ায়ে পৌঁছেছে।
মাদ্রাজ IIT-র গণনা মডেল অনুযায়ী গত সপ্তাহে অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ‘আর-নট’-এর মান ছিল ২.৯ –র কাছাকাছি। কিন্তু, এই সপ্তাহে, অর্থাৎ ১ থেকে ৬ জানুয়ারিতে তা এসেছে ঠেকেছে চারে। এই প্রসঙ্গে মাদ্রাজ IIT-র গণিত বিভাগের অধ্যাপক জয়ন্ত ঝা বলেন, ‘সংক্রমণের সম্ভাবনা, মেলামেশার হার এবং সময় ব্যবধানের উপর নির্ভর করে সংক্রমণ বৃদ্ধি। এই মুহূর্তে সারা দেশে কোভিড বিধি নিষেধ আরোপ করার ফলে মেলামেশার হার হয়ত কমে যাবে। ‘আর-নট’-এর মানও খানিকটা নেমে আসবে।’
তাঁর সংযোজন, ‘গত দু’সপ্তাহের তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিশ্লেষণে এই পর্যবেক্ষণ। উপযুক্ত নজরদারিতে জমায়েত কম হলে সংক্রমণ অবশ্যই কম ছড়াবে।’ অধ্যাপক ঝা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান সময়ের ভিত্তিতে করা হয়েছে তার সঙ্গে মাদ্রাজ IIT-র গণনার সময়কালের পার্থক্য রয়েছে। তারই ফলে খানিক বদলে গিয়েছে পরিমাপ।’ পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘মাদ্রাজ IIT-র গণনা অনুযায়ী আগের ঢেউ গুলির তুলনায় এবারের সংক্রমণ অনেক বেশি বাড়বে এবং ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে। এই ঢেউ অন্য গুলির থেকে খানিকটা আলাদা হতে চলেছে।’
অধ্যাপক ঝা দাবি করেন, প্রথম ঢেউয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে অনেক কড়াকড়ি ছিল। মানুষও কম বাইরে বেরচ্ছিলেন। তৃতীয় ঢেউয়ে মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা দেখাই যাচ্ছে না। ‘সরকারি কড়াকড়িও যথেষ্ট কম। তবে আশার কথা যে প্রায় ৫০ শতাংশ নাগরিকই টিকা নিয়ে ফেলেছেন। রোগের প্রকোপ কিছুটা কম হবে বলেই মনে করছি আমরা।’