দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ভারতে Omicron-র ঢেউ আছড়ে পড়েছে’, এমনই দাবি করলেন মার্কিন গবেষকরা। যার জেরে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শিখর স্পর্শ করবে দেশের করোনা গ্রাফ। দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের। এই মুহূর্তে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পরপর দু’ দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখ পার করেছে। পরের মাসের মধ্যেই দৈনিক সংক্রমণ পাঁচ লাখ হবে, দাবি বিশেষজ্ঞদের। গবেষকদের দাবি, ভারতে Delta যতটা ভয়াবহ হয়েছিল, Omicron ততটা গুরুতর হবে না।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার মুরারি বলেন, ‘ভারত এই মুহূর্তে Omicron-র ঢেউ দেখছে। বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো ভারতেও করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আমাদের আশঙ্কা, গত বছর এপ্রিলে যখন ডেল্টার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, তার চেয়ে বেশি সংক্রমণ হবে আগামী মাসে। ডেল্টার চেয়ে ভয়াবহ হবে না Omicron। এটাই বাঁচোয়া।’
তাঁর সংযোজন, ‘তবে আক্রান্তের সংখ্যায় লম্বা লাফ দেখতে পাবে ভারতবাসী। ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। তবে সচেতন থাকা ভালো। কী ভাবে Omicron এর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে, তার মডেল তৈরি করেছি আমরা। সেটা পরে প্রকাশ করা হবে। তবে দৈনিক সংক্রমণ কমপক্ষে ৫ লাখ করে হবে আমরা নিশ্চিত। পরের মাসেই Omicron-র এই ঢেউ পিক স্পর্শ করবে।’
ভারতের বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এই দেশের মানুষদের মধ্যে হাইব্রিড ইমিউনিটি রয়েছে। সেই কারণেই Omicron সেভাবে জব্দ করতে পারছে না মানুষদের। পাশাপাশি, Delta এবং Beta সংক্রমণও বাড়ছে. ভ্যাকসিনেশনই মানুষকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি দিচ্ছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তবুও। মৃত্যুও হচ্ছে। তবে দু’টোর সংখ্যা কম। ভারতেও সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হবে না।