দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন গ্রাফ চিন্তার ভাঁজ ফেলছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। এই পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন IIT কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসের শেষে দেশে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তবে আশঙ্কার পাশাপাশি আশার বাণীও শুনিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। তবে ‘মার্চ মাস থেকে করোনা সংক্রমণ একলাফে কমবে অনেকটা।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছিল গোটা দেশ। কিন্তু, এরই মধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন আছড়ে পড়ায় টালমাটল গোটা বিশ্ব। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের নীচে ছিল, সেখানে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। প্রশ্ন উঠছে মহামারীর শেষ কোথায়? সর্বভারতী সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, ‘জানুয়ারি মাসেই দেশে করোনা সংক্রমণ শিখর ছোঁবে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যাবে নতুন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ‘জানুয়ারি মাসে সংক্রমণ বাড়লেও মার্চের মাঝামাঝি সময়ে একলাফে অনেকটাই কমবে সংক্রমণ এবং করোনার এই নতুন ঢেউও শেষ হয়ে যাবে।’
কানপুর IIT-র এই অধ্যাপক জানাচ্ছেন, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতাতে এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনা সংক্রমণ শিখর ছোঁবে। এই শহর গুলিতে করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা আবহে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। মিছিল সমাবেশ গুলিতে থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে মণীন্দ্র আগারওয়াল বলেন, ‘শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচার থেকে করোনা ছড়াচ্ছে এটা মনে করা ভুল। অনেক কারণে ছড়াচ্ছে করোনা।
উল্লেখ্য, দেশের করোনা সংক্রমণ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭৭ জনের। সংক্রমণের নিরিখে চিন্তা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাডু এবং কর্নাটক।