দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
নেতাজির জন্মবার্ষিকীর সঙ্গে মিলে যেতে চলেছে দেশের গণতন্ত্রের উদযাপন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের সাধারণতন্ত্রের উদযাপন নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র। এবার থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন অর্থাৎ Republic Day-র। বিশ্বের সামনে ভারতের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে তুলে ধরতে সাধারণতন্ত্রের মতো দেশের বিশেষ দিন গুলি উদযাপনে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। সেই মতোই এই বছর ২৩ জানুয়ারি থেকেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শুরুর পরিকল্পনা। এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু হত সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।
এর আগে কেন্দ্রের মোদী সরকার সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে আগেই পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেছে। তাছাড়াও ১৪ অগাস্ট দেশভাগের যন্ত্রণার দিন ও ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী অর্থাৎ জাতীয় একতা দিবস।১৫ নভেম্বর বীরসা মুণ্ডার জন্মদিন। ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস মতো দিনের উদযাপনেও বিশেষ পরিকল্পনা নিতে চলেছে মোদী সরকার। নেতাজি জন্মজয়ন্তীর পরপরই ক্যালেন্ডারে দিনটাকে ঘরে দেশাত্মবোধক আবেগ জাগ্রত হয় প্রত্যেক ভারতীয়র মনে, সেটি হল ২৬ জানুয়ারি। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান, কুচকাওয়াজের মাধ্যমে সংস্কৃতি, ইতিহাসের ছবি ভেসে আসে।
এই দিনটিকে জাতীর জনক মহাত্মা গান্ধী নাম দিয়েছিলেন, ‘স্বতন্ত্রতা সংকল্প দিবস’। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে ১৯২৯ সালের বর্ষশেষে পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথের পরই ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারত যখন ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা অর্জন করল, তখন সেই দিনটিই স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা পেয়ে গেল।
এরফলে ২৬ জানুয়ারি তারিখের রীতিও বদলে গেল। স্বাধীনতার প্রায় আড়াই বছর পর তৈরি হল দেশের সংবিধান। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর করা হল দেশের সংবিধান। সেই সূত্র ধরে ২৬ জানুয়ারিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হল।