দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
আর ৭ দিন নয়, এবার থেকে করোনায় আক্রান্ত হলে ৫ দিন হোম আইসোলেশনে থাকলে রোগ থেকে মুক্তি ? সুখবর শোনালেন বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডা. গগণদীপ কং। যখন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীরা কোয়ারেন্টাইনে অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন, তখন আইসোলেশন পর্ব কমানোর ইঙ্গিত। কার দু’টি ডোজ সম্পন্ন হওয়ার পরও কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই রোগকে এখন মাত্র ২-৩ দিনেই মোকাবিলা করা সম্ভব।’
ডা. গগণদীপ কং বলেন, ‘ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা অত্যধিক। ডেল্টা প্রজাতির করোনা যেখানে ৪ থেকে ৬ দিনে দ্বিগুণ হত, ওমিক্রন সেখানে মাত্র ২-৩ দিনেই একাধিক ব্যক্তিকে সংক্রমিত করছে। এর মারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় আইসোলেশন পর্ব কমিয়ে পাঁচদিন করা যেতেই পারে।’ ওমিক্রনেই কি শেষ হতে চলেছে মহামারী ? প্রশ্নের উত্তরে সতর্কবাণী, ‘প্রত্যেক মহামারীর একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন রয়েছে। বেশিরভাগ মহামারীর ক্ষেত্রে প্রথম ঢেউ অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক হয়। দ্বিতীয় ঢেউ তার থেকে বেশি গুরুতর হয়।
তৃতীয় ঢেউ আবার হয় অত্যধিক ভয়াবহ হয়, নয়ত মারণ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে। তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও ভয়ংকর রূপ ধারণ করার পর ধীরে ধীরে ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কোভিড পূর্ববর্তী জীবনে ফিরতে পারবে না মানুষ? ভাইরোলজিস্ট বলেন, ‘ভাইরাসটির আর যদি কোনও নতুন প্রজাতি না তৈরি হয়, তবে ২০২২ সালেই ফের আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে। ২০২৩ সাল নাগাদ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সাধারণ মানুষ।’
তবে সংক্রমণও বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তাই বলে প্রতি তিনমাস অন্তর টিকা নিয়ে সুরক্ষাকবচ তৈরি করা যাবে বলেও ভুল ধারণা রাখা উচিত নয়। মৃত্যু আটকানো মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ডবল ভ্যাকসিনেশন বেশ কার্যকরী হচ্ছে।