দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনার তৃতীয় ঢেউর আশঙ্কা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। একাধিক সমীক্ষা ও গবেষণায় বলা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এই তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁয়ে ফেলবে। SBI-এর একটি রিপোর্টেও তেমন ইঙ্গিত রয়েছে। SBI-র গবেষণাধর্মী রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে করোনার স্রোতের শিখর দেখা যাবে দেশে। রিপোর্ট বলছে ওমিক্রনের রকেট গতিতে উত্থানের মতো হু হু করে নামবে গ্রাফ এদিকে, দেশের গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে। গত ২ সপ্তাহের মধ্যে মঙ্গলবার দেখা গিয়েছে কোভিডের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়া। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৮,০১৮ জন। এই পরিস্থিতিতে SBI-র রিপোর্ট কী বলছে, দেখে নেওয়া যাক।
স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনৈতিক গবেষণা রিপোর্ট তৈরি হয়েছে ব্যাঙ্কের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ডক্টর সৌম্যকান্তি ঘোষের নেতৃত্বে। বলা হয়েছে, কোভিডের তৃতীয় স্রোতের শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে মুম্বই। যদিও পুনে, মুম্বইতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। সৌম্যকান্তি ঘোষ বলছেন, ‘ যদি জেলা গুলি কঠোর বিধি আরোপ করে , তাহলে মুম্বইয়ের শিখরের পর দেশে অন্য জায়গায় শিখর দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে আসতে পারে।’ রিপোর্ট বলছে যে রকেট গতিতে ওমিক্রন হু হু করে ছড়িয়েছে দেশে, সেই রকেট গতিতে ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের গ্রাফও নামবে। বলা হচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, ওড়িশার গ্রাম্য এলাকায় বাড়ছে ওমিক্রনের কেস। দ্বিতীয় স্রোতের প্রসলঙ্গ তুলে সৌম্যকান্তি ঘোষ বলেন, বহু বড় জেলাতেই দেশে ২০২১ সালের স্রোতের সময় করোনার কেস শিখর ছুঁয়েছিল জাতীয়স্তরের শিখর ছোঁয়ার আগে।
দেশের ১৫ টি বড় জেলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে SBI-র মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বলছেন, সংক্রমণ বহু জেলাতে কমতে শুরু করে দিয়েছে। দেশের ১৫ টি বড় জেলার মধ্যে ১০টি বড় শহর। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সেখানে যখন করোনার কেস লোড ছিল ৬৭.৯ শতাংশ, তখন ২০২২ জানুয়ারিতে ৩৭.৪ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনেশনের দিক থেকে ,দেশে ৬৪ শতাংশ প্রাপক দুটি ডোজ পেয়েছেন। ৯২ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছেন। ফলে ওমিক্রন ঘিরে ত্রাসের মাঝেও রয়েছে আশার আলো। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সতর্কতা ধরে রেখেই মোকাবিলা করতে হবে করোনার এই নতুন স্রোতকে।