দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
মার্চের মাঝামাঝি শেষ হয়ে যেতে পারে করোনার ভয়াবহতা। ICMR-এর মহামারী বিভাগের প্রধান সমীরণ পান্ডা এমনই আশার কথা শোনালেন। করোনা ভাইরাসের স্ট্রেইন Delta, Omicron, Deltacron বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোভিডের একের পর এক নয়া প্রজাতির হামলায় সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। ডেল্টার পর এবার ওমিক্রন সংক্রমণে গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়েছে তৃতীয় ঢেউ। সংকটের মুখে আশার আলো নয়া গবেষণায়।
ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এপিডেমিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের প্রধান সমীরণের মতে, ‘আমরা যদি করোনা বিধি সতর্ক ভাবে মেনে চলি এবং করোনার কোনও নতুন প্রজাতি তৈরি না হয় তাহলে মার্চের ১১ তারিখের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা। তাঁর দাবি, যদি করোনা নতুন প্রজাতি Omicron ডেল্টার জায়গা নিয়ে নেয়, তবে এবার করোনা সাধারণ অসুখ অর্থাৎ এন্ডেমিকে পরিণত হবে এটি। ‘
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি একটি গাণিতির পরিসংখ্যান পেশ করেছেন। তাঁর মতে, ভারতে তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। রিপোর্ট বলছে তিন মাস থাকবে এই প্রজাতির সংক্রমণের ঝুঁকি। ICMR-র মহামারী বিষয়ক দফতরের প্রধান বলেন ,’ ১১ মার্চ থেকে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আসবে অনেকটা স্বস্তি। দিল্লি এবং মুম্বই করোনার কেসের শীর্ষে পৌঁছনোর পর এবং সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পর আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। দিল্লি ও মুম্বইয়ে ইতিমধ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ আগের থেকে কমেছে। পজিটিভিটি রেটও নিম্নমুখী।’ এই মুহূর্তে রাজধানী ও মুম্বাইতে Omicron এবং Delta variants-এর অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৮০:২০।
অন্যদিকে, রাজ্য গুলির সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সমীরণ বলেন, বিভিন্ন রাজ্য এই মুহূর্তে সংক্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। ICMR টেস্ট নিয়ে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করলেও রাজ্য গুলিকে টেস্ট কমানোর কথা বলেনি বলে দাবি মহামারী দফতর প্রধানের। তবে শীঘ্র করোনা নির্ধারণের জন্য হোম টেস্টিংকেও গুরুত্ব দিচ্ছে ICMR। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে স্থানীয় ভাষাতেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেছেন সমীরণ পাণ্ডা।
বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যেই শিখর ছোঁবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। IIT কানপুরের গবেষক দল জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দিল্লি এবং মুম্বইয়ের সংক্রমণ শিখর ছুঁয়েছে। দেশে সার্বিক ভাবে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ পিক স্পর্শ করবে। এমনটাই দাবি ওই গবেষকদের।