দ্য ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: আগস্টের শুরুতেই হংকং এর এক ব্যক্তির শরীরে দ্বিতীয়বার কোভিড সংক্রমণের অফিসিয়াল খবর সামনে এসেছিল। এবার ভারতের বাঙ্গালরু। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে , গত জুলাই মাসে কোভিড-মুক্ত হয়েছিলেন ২৭ বছরের এক যুবতী। এবার সেপ্টেম্বর মাসে ফের তাঁর করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
হাসপাতাল সুত্রে যা জানা যাচ্ছে তা এই -করোনাকে জয় করার প্রায় এক মাসের মধ্যেই ফের তাঁর শরীরের সামান্য উপসর্গ দেখা দেয়। তা দেখামাত্রই তাঁর কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে।
এই প্রসঙ্গে বাঙ্গালরুর বানেরঘাট্টা রোডের হাসপাতালের সংক্রমিত রোগের কনসালট্যান্ট ডা. প্রতীক পাতিল জানান, ‘জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ওই রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তাঁর জ্বর, কাশি ও গলা ব্যাথা ছিল। তখন তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। তিনি যথা সময়ে সেরেও যান। আর তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর ২৪’শে জুলাই তাঁকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে ওই মুক্তির প্রায় এক মাস পর আগস্টের শেষ সপ্তাহে তাঁর মধ্যে ফের মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে দেখা গিয়েছে দুটি ক্ষেত্রেই ওই যুবতীর শরীরে অন্যান্য কোনও বড় সমস্যা নেই। তবে বেঙ্গালুরুতে একই ব্যক্তির শরীরে ফের করোনাভাইরাস ফিরে আসার ঘটনা এই প্রথম।’
ডাক্তারবাবু আরও বলেন যে, ‘সাধারণত কোভিডে আক্রান্ত হলে তার দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে কোভিড ইমিউনোগ্লোবিউলিন অ্যান্টিবডি শরীরে পজিটিভ হয়। কিন্তু এই রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার পরও তাঁর অ্য়ান্টিবডি নেগেটিভই ছিল, অর্থাত্ তাঁর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। আর কোনও কারণ বশত: ওই যুবতীর শরীরে অ্যান্ডিবডি প্রায় এক মাসের মধ্যে উধাও হয়ে গিয়েছে যার কারণেও ওই রোগী ফের করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।’
দেশজুড়ে ক্রমেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। টেস্টের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে দৈনিক সংক্রমণের পরিমাণের রেকর্ড তৈরি হচ্ছে রোজ। রবিবারের সংক্রমণও এর ব্যাতিক্রম নয়। রবিবার ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে সেই সংখ্যা। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে বিশ্ব-তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত।