দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বাচ্চাদের সাধারণ সর্দি-কাশি হলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাবা-মায়েরা। করোনা আবহে সামান্য অসুস্থতাও চিন্তা বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের। ওমিক্রনের দাপট দেখে চিন্তা আরও বেড়েছে। এমন আবহে শিশুদের জ্বর , সর্দি-কাশি হলে কী করবেন ? কী করবেন না ? তাদের চিকিৎসা হবে কীভাবে ? সুস্পষ্ট গাইডলাইনস জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। করোনা আক্রান্ত হলেও কীভাবে চিকিৎসা হবে শিশুদের ? গাইডলাইনস জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
নিয়মিত শিশুদের দেহের অক্সিজেনের মাত্রায় নজর রাখতে হবে। পালস অক্সিমিটারে হাত রেখে নড়াচড়া করে, অল্প সময়ের মধ্যে আঙুল বের করে নেয়, ফলে সঠিক মাত্রা জানা যায় না। এই পরিস্থিতি এড়াতে বাচ্চাদের হাতের তর্জনী পরিস্কার করে পালস অক্সিমিটারে রাখতে হবে। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-৯৫ মধ্যে থাকলে চিন্তার কিছু নেই। দুর্ভাবনা প্রয়োজন নেই বলছে কেন্দ্র।
শুধু অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করলেই চলবে না। দেখতে হবে শিশুটির জ্বর আসছে কিনা। যদি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তাকে প্যারাসিটামল জাতীয় লিকুইড ওষুধ খাওয়াতে হবে। কতটা ওষুধ শিশুকে দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনদিন এই জ্বর থাকলে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলেও চিন্তার কিছু নেই, বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শিশুদের নাসারন্ধ্রে প্রচুর জল থাকে। ফলে তারা খুব তাড়াতাড়ি কোভিডমুক্ত হয়ে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্ষ ছাড়া কোনওরকম স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না। কোভিড নেগেটিভ হওয়ার ১০-১২ দিন পরও জ্বর-সর্দি থাকলে নিতে হবে চিকিৎসকদের পরামর্শ। বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছে, শিশুদের মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা কমেছে। শিশুদের নাসারন্ধ্রে প্রচুর জল থাকায় তাদের নাকের ঝিল্লি খুব পরিস্কার থাকে। ফলে ভাইরাস নাকে থাকতে পারে না।
শিশুদের জ্বর বা সর্দি-কাশি হলে, কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে —-
১. লক্ষ্য রাখুন বাচ্চা ঝিমিয়ে পড়ছে কিনা।
২. জ্বর ১০০-এর উপরে রয়েছে কিনা। ১০০-র উপর জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল জাতীয় লিকুইড ওষুধ খাওয়াতে হবে।
৩. সাত বা দশদিনের বেশি জ্বর থাকলে অন্য চিকিৎসা করা যেতে পারে।