দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
খোলা বাজারে আসছে করোনা টিকা। আর কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের খোলা বাজারে এর দাম হতে পারে ২৭৫ টাকা। ডোজ প্রতি অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ পড়তে পারে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ মোটামুটি ৪২৫ টাকায় মিলবে করোনা ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজ। দুটি ভ্যাকসিনকে বাজারে বিক্রয়ের জন্য প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অনুমোদনপত্র ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে। DCGI-এর ছাড়পত্র মিললেই ওষুধের দোকানেই মিলবে করোনার টিকা।
সূ্ত্রের খবর, টিকার দাম সাধারণের সাধ্যের মধ্যে রাখতে, দাম বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বর্তমানে কোনও বেসরকারি জায়গা থেকে করোনা ভ্যাকসিন নিতে গেলে Covaxin -র জন্য খরচ পড়ে ১২০০ টাকা এবং Covishield-র জন্য দিতে হয় ৭৮০ টাকা। ভ্যাকসিনের দাম ছাড়াও service charge ১৫০ টাকাও এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরের শুরুতে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া কোভিশিল্ড খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদনের জন্য ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিল।
সাধারণত টিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল না হলে বাজারে বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। সেরামের যুক্তি ছিল, ইতিমধ্যে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ টিকা পেয়েছে। ভ্যাকসিন খোলা বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকা উচিত নয়। গত ১৯ জানুয়ারি, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে টুইট করে জানানো হয়, এতদিন কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করা হত। তা বাজারজাতকরণের অনুমোদন দিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র হাতিয়ার ভ্যাকসিন। তাই টিকাকরণের উপর প্রথম থেকেই সর্বাধিক জোর দিচ্ছে সরকার। গত বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়। ইতিমধ্যে টিকাকরণের গণ্ডি দেড়শো কোটি ছাড়িয়েছে দেশে। শুরু হয়েছে শিশু-কিশোরদের টিকাকরণও। দুই দেশীয় ভ্যাকসিনকে বাজারজাতকরণ করার উদ্যোগ কেন্দ্রের।