দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
মাসের শুরুতে যাঁদের রোজ হিসাবে কাটাকুটি চলে, আর মাসের শেষে পকেটে কী পড়ে থাকল, তা নিয়ে উদ্বেগ কাটেই না, সেই মধ্যবিত্তরা কী পেলেন সীতারামনের ২০২২ বাজেট থেকে ?দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্যই বা কী থাকল বাজেটে ? নানান প্রশ্ন উঠেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। বিশেষজ্ঞের দাবি, সামাজিক ক্ষেত্র, কল্যাণমূলক প্রকল্প ও স্বাস্থ্য খাতে খানিকটা উদাসীনতার বার্তা বহন করছে বাজেট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের দিকে তাকিয়ে বাজেট পেশ করা হয়েছে, তাতে ফোকাসে থেকেছে আর্থিক বৃদ্ধি। ফলে মূলধন ব্যয়ের ওপর এসেছে জোর। স্বাস্থ্য খাতে খুব সামান্য আর্থিক বরাদ্দ দেখা গেলেও, কোভিডের অতিমারীর মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে জোর দেখা যায়নি। মধ্যবিত্ত ও বিপিএল তালিকার নিচে থাকা বহু মানুষ কোভিড পরিস্থিতিতে টেস্টিং থেকে শুরু করে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মুখাপেক্ষী হয়েছেন উন্নত পরিষেবার, তথা কম খরচে পরিষেবার। অর্থনীতির সমীকরণ অনুযায়ী, বিনিয়োগেই বৃদ্ধির তত্ত্ব নিয়ে, মূলধন খাতে ব্যয় ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে তা ৭.৯ লাখ কোটি টাকা করা হয়েছে।
আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, বাজেটে অনেকটাই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সরবরাহ ভিত্তিক অর্থনীতিতে। ফলে মধ্যবিত্তের আয়বৃদ্ধি খানিকটা উপেক্ষিত হয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়ে বহু মধ্যবিত্ত পরিবারে নেমেছে আর্থিক সংকট। বেকারত্বের কষ্ট মাথাচাড়া দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আগামী ৫ বছরে ৬০ লক্ষের কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়ে নয়া প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন। তাতে কি সুরাহা হতে পারে বর্তমান পরিস্থিতির ? পিএম কিষাণ প্রকল্পের আওতায় সামাজিক পেনশন বা নগদ ট্রান্সফারে বড় ঘোষণা আসেনি। খাবারে ভর্তুকি কমানো হয়েছে ৭৯০০০ কোটি টাকার। সারে ভর্তুকি ৩৪৯০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৮৬২০০.৭ কোটির কথা বলা হয়েছে তা বার্ষিক হিসাবে ০.২ শতাংশ বেশি।
দিল্লির ইন্ডিয়ান স্ট্যাটেস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অর্থনীতিবিদ গুরুবচন সিং বলছেন, ‘পরিকাঠামোতে ব্যয় বাড়িয়ে একটি সমস্যা থেকে গিয়েছে, তা ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ। উল্লেখ্য, ক্যাপিটাল ইনটেনসিভের অর্থ হল, রেলওয়ে বা যন্ত্রাংশ তৈরি, পণ্য তৈরির মতো ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর জন্য পুঁজি। কর্মসংস্থানের জন্য আরও বেশি শ্রমিককেন্দ্রিক পুঁজি প্রয়োজন।