দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনার কবল থেকে এত তাড়াতাড়ি মুক্তি নেই বিশ্ববাসীর। ভারতে এখনও করোনার তৃতীয় ঢেউ কিছুটা জারি রয়েছে। যদিও সংক্রমণের হার এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। অনেক জায়গাতে মোটামুটি স্বাভাবিক নিয়মে জীবন চলতে শুরু করেছে। সব জায়গায় খুলেছে দোকান-বাজার, স্কুল-কলেজ-বাস-ট্রেন। তবে ভারতীয় গবেষকদের একাংশের দাবি, করোনার চতুর্থ ঢেউ প্রায় দোরগোড়ায় চলেই এসেছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কানপুরের গবেষকদের দাবি, এই বছরে চতুর্থ ঢেউয়ের সাক্ষী হবে ভারত।
IIT কানপুরের গবেষকদের দাবি, আগামী ২২ জুন থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের প্রভাব। এভাবেই করোনা থেকে যাবে আমাদের সঙ্গে। কখনও ঢেউ বাড়বে, কখনও ঢেউ ধীরে ধীরে কমবে। তবে এই বারের ঢেউ কতটা মারাত্মক হবে তা নির্ভর করবে করোনার নতুন স্ট্রেইন বা ভ্যারিয়েন্টের উপর। এবং অবশ্যই দেশে করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজের উপরেও তার ভয়াবহতা নির্ভর করবে।
তৃতীয় ঢেউতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক হলেও সেই তুলনায় প্রাণ হারাননি অত লোক। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক তুঙ্গে। মেডএভিক্স জার্নালে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে গবেষকরা দাবি করেছেন, ১৫ থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে সংক্রমণের গ্রাফ শীর্ষে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কানপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কয়েকদিনের ফারাকে মিলে গিয়েছিল।
চতুর্থ ঢেউয়ের দিনক্ষণের পূর্বাভাস দিতে ‘বুটস্ট্র্যাপ’ নামক স্ট্যাটিসটিকাল মডেল প্রয়োগ করেছেন গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, এই মডেল ব্যবহার করে ভারত ছাড়াও অন্য দেশের করোনা ঢেউয়ের দিনক্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া যায়। বিশ্বের অনেক অনেক দেশেই এখন তৃতীয় ঢেউ চলছে। আবার অনেক দেশেই করোনার চতুর্থ ডেউ শুরু হচ্ছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। করোনা বিধি ভুলে থাকলে চলবে না।