দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
আবারও ২৫ মে ভারত বনধের ডাক। ভোটে ইভিএম-র ব্যবহার বন্ধ সহ একাধিক বিষয়ে ভারত বনধের ডাক দিল অল ইন্ডিয়া ব্যাকওয়ার্ড এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কর্মচারী ফেডারেশন। কেন্দ্রের জনগণনা প্রক্রিয়ার আপত্তি জানিয়ে গোটা দেশে বনধের ডাক। সংগঠনের দাবি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে জনগণনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সম্প্রতি জনগণনা নিয়ে বড় ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ”দেশের পরবর্তী গণনা হবে ডিজিটাল আদমসুমারি। জনগণনা হবে ডিজিটালি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন জানান, পরবর্তী জনগণনার পদ্ধতিই আগামী ২৫ বছরের নীতি নির্ধারণ করবে।” এই পদ্ধতিতে জাত ভিত্তিক গণনা বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ। জাত ভিত্তিক গণনাকে অন্তভুর্ক্ত করার দাবি।
শুধু জাত ভিত্তিক জনগণনা নয়, ইভিএম-এর ব্যবহার বন্ধের মতো একাধিক দাবিতে ভারত বনধের সিদ্ধান্ত। তাদের দাবি গুলি হল, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না, জাত ভিত্তিক আদমসুমারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে SC/ST/OBC সংরক্ষণ, কৃষকদের ফসলে নূন্যতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা। এছাড়া NRC/CAA/NPR-র করার ভাবনা বাতিল। পুরনো পেনশন ব্যবস্থা পুনরায় শুরু করা, মধ্যপ্রদেশে ও ওড়িশা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওবিসি-এর আসন সংরক্ষণের দাবি ছাড়াও বলা হয়েছে পরিবেশ রক্ষার নামে উপজাতিদের উচ্ছেদ করা চলবে না।
১ এপ্রিল ২০২১ জনগণনা এবং NPR সূচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে NPR আপডেট এবং জনগণনা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ কাটিয়ে এপ্রিল থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। এবার বহুদিন ধরে বকেয়া থাকা জনগণনার কাজ সেরে ফেলতে চায় কেন্দ্র।