মানুষের ভালোবাসা আর আশীর্ব্বাদকে পাথেয় করে পেশায় মোটর মেকানিক সুন্দর হেঁটে চলেছে কলকাতা থেকে সুদূর লাদাখের পথে । তার সঙ্গী বলতে দেশের জাতীয় পতাকা আর একটি রুকসাক । পকেটে পুঁজি হাজার তিনেক টাকা । প্রতিদিন প্রতিনয়ত আমাদের প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে ,সেটা দেখে তাই আর চুপ করে বসে থাকতে পারলোনা সুন্দর । বেছে নিলো এই অভিনব পন্থা । মানুষকে সচেতন করবে তার এই পদযাত্রা । প্রকৃতি বাঁচাতে সবাইকে পাশে পাবে বলেই তার বিশ্বাস । তার কোনো স্পন্সর নেই । এই দীর্ঘ যাত্রা সে কিভাবে সফল করা খুব সহজ হবে না । তবে কিছু বন্ধুদের ও পাশে পেয়েছে । এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতে তার এই অভিনব পদযাত্রায় অনেককে পাশে পাচ্ছে সে ।


সুন্দরের আসল নাম নির্মল ওরাও। গত ১৯ শে মে যাত্রা শুরু করেছে বিরাটি থেকে লাদাখের উদ্দেশে । প্রত্যেকদিন ৫০ টি ৬০ কিলোমিটার হেঁটে চলেছে । এখন সে পৌঁছে গেছে মানালিতে । সে হেঁটে চলেছে মনের আনন্দে । যতটা পারছে ততটাই যাচ্ছে । যেখানে যা পাচ্ছে তাই খাচ্ছে আর যেখানেই জায়গা পাচ্ছে সেখানেই করছে রাত্রি বাস । এইতো সেদিন বিয়াস নদীর ধারে গুমিয়ে নিলো একটা গোটা রাত ।


বরাবর পাহাড় তাকে বড্ডো বেশি টানে । এক সময় স্বপ্ন ছিল পুরুলিয়ার পাহাড়ে ঘুরে বেড়াবে সে কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি তার । কিন্তু এখন সে হিমাচলের পাহাড়ে আপেল পেড়ে খাচ্ছে এই কথা বলতে বলতে তার গলায় বিষ্ময় ।গুড়ে বেড়ানোই একমাত্র উদ্দেশ্য বাকি সবই বিধেয় তার কাছে । আর মানুষের কাছে প্রচার করা প্রকৃতি বাচাঁও । প্রকৃতি বাচঁলে তবেই আমরা বাঁচবো এই সত্যিটা মানুষকে উপলব্ধি করানোটাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য । তাই পেশাগত ভাবে একজন মোটর মেকানিক হয়েও মোটর সাইকেল না চালিয়ে পায়ে হেটে তার বার্তা দেওয়া । উমলিং লা পাস অতিক্রম করা তার এখন একমাত্র লক্ষ্য । ১৯৩০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত । লাদাখের যে রাস্তা পৃথিবীর কোনো পথচারী এখনো পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারেননি। তবে কোনো বিশ্বরেকর্ড নয় ,প্রকৃতিকে রক্ষা করাই একমাত্র উদেশ্য তার এই পদযাত্রার ।