দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
মীরাবাই কমনওয়েলথ গেমসে মোট ২০১ কেজি ভারোত্তোলন করে সোনা জিতে রেকর্ড গড়লেন। স্ন্যাচে তুলেছেন ৮৮ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মীরাবাই ১১৩ কেজি তুলেছেন। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন মীরাবাই। কর্নম মালেশ্বরীর পর ভারতের দ্বিতীয় ভারোত্তোলক হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক জিতে ইতিহাস লিখেছিলেন তিনি। মালেশ্বরী ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ৬৯ কেজি বিভাগে। ২১ বছর পর ভারতের ভারোত্তোলনে পদক এনে দিয়েছিলেন মীরাবাই চানু। চলতি কমনওয়েলথ গেমসে ভারতকে প্রথম সোনা এনে দিলেন ইম্ফলের কন্যা মীরাবাই। টোকিও অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছিলেন মীরাবাই চানু। কমনওয়েলথ গেমসে গত বার সোনাজয়ী চানু ফের সোনা জিতলেন।
স্ন্যাচিংয়ে প্রথম চেষ্টায় ৮৪ কিলো ভার উত্তোলন করার পর দ্বিতীয় বার ৮৮ কিলো। তৃতীয় বার ৯০ কিলো তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হলেও স্ন্যাচিং বিভাগের শেষে শীর্ষে ছিলেন। ৮৮ কিলো উত্তোলন করে গেমস রেকর্ড গড়েন চানু , ব্যক্তিগত রেকর্ডও বটে। ক্লিন এবং জার্ক বিভাগেও রেকর্ড গড়েন চানু। তিনি প্রথমে ১০৯ কিলো, দ্বিতীয় বার ১১৩ কিলো তুলে গেমস রেকর্ড। মোট ২০১ কিলো তুলে চানু গেমসের রেকর্ড গড়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রুপো পেলেন মরিশাসের মেরি রানাইভোসোয়া। দুই বিভাগ মিলিয়ে তিনি তোলেন ১৭২ কিলো অর্থাৎ চানুর থেকে ২৯ কিলো কম। তৃতীয় স্থানে কানাডার হান্নাহ কামিনস্কি তোলেন ১৭১ কিলো।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো জিতেছিলেন মীরাবাই চানু। ম্যাচের আগের দিন বিকেলের দিকে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা উপেক্ষা করে অনুশীলন করলেও পরে ভেস্তে যায়। প্রশিক্ষক বিজয় শর্মা বলেন চানু যে লড়াইয়ে অভ্যস্ত তা ভালই জানে দেশবাসী। ২০১৬-র রিয়ো অলিম্পিক্সে ইভেন্টের শেষে তাঁর নামের পাশে লেখা ছিল ‘ডিএনএফ’, অর্থাৎ ‘ডিড নট ফিনিশ’। কোমরের চোটে চোখের জলে বিদায় নিতে হয়েছিল জীবনের প্রথম অলিম্পিক্স থেকে। পাঁচ বছর পরে তিনি ফের অলিম্পিক্সে নেমে মণিপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে সাইখোম মীরাবাই চানুর হাত ধরে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো জিতল ভারত।