দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে মৃত্যুহার এখন অনেকটাই কম। এই রোগ বাধ্য করছে দূরত্ব বিধি সহ মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে। মহামারীর আবহে স্কুল-কলেজ বন্ধ। এমতাবস্থায় বাচ্চা থেকে বড় সকল ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনো চলছে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে। বাড়িতে বসেই অনলাইনে চলছে সেই ক্লাস। ধীরে ধীরে সবাই অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে এই অনলাইন ক্লাসে। তবে এই অনলাইন ক্লাসে পড়াতে গিয়েই ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মারা গেলেন শিক্ষক।
যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর বয়স ৪৬ বছর। নাম পাওলা দে সিমন। রোজকারের মতো ওই দিনও তিনি জুম কলের মাধ্যমে ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি একজন কলেজের লেকচারার। পড়া বোঝাতে বোঝাতে হঠাৎই তিনি তার কথা বলা বন্ধ করে দেন, স্থির হয়ে বসে থাকেন। সেই কলে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ম্যামের থেকে জানতে চায় যে শরীর খারাপ লাগছে কিনা। কিন্তু সিমন কোনও উত্তর দিতে পারেন না।
এমনকি ছাত্ররা সাহায্যের উদ্দেশ্যে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানতে চাওয়ায় কোনো উত্তর দেন না সিমন। এরকম কিছুক্ষণ চলার ছাত্ররা দেখতে পান পাওলার বাড়ির লোকেরা ওই ঘরে ঢোকে এবং অনলাইন কলেই পড়ুয়ারা বুঝতে পারেন যে তাদের শিক্ষিকা মারা গিয়েছেন।
এই গোটা ঘটনাটা পড়ুয়ারা নিজেদের চোখের সামনে ‘লাইভ’ দেখতে পায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে থেকেই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে বাড়ী ফিরেছিলেন ওই শিক্ষকা। সুস্থ ও হয়েছিলেন। তবে খুব দুর্বল ছিল তাঁর শরীর। করোনা জয় করে ফিরলেও শেষ রক্ষা আর হল না।
অন্যদিকে ডাক্তারদের মতে স্ট্রোকেই মারা গিয়েছেন তিনি। কারণ করোনা তখন তাঁর শরীরে ছিল না। এই ঘটনার পর যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। গোটা ঘটনাটা টুইটারে শেয়ার করা হয়। অনেকেই বলছেন,’করোনা থেকে সেরে উঠলেও হয়তো ওই শিক্ষিকা পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না। আর সেই জন্যই হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জুম ভিডিও কলে এর আগে অনলাইন ক্লাস চলার সময় নানান ঘটনা সামনে এসে, ভাইরালও হয়েছে। কিন্তু ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।