ভিড়ে জমাটি দিওয়ালি উদযাপনের নেশায় মেতে থাকা মানুষ প্রায়শ:ই ভুলে যাচ্ছেন মাস্কের কথা, পকেটে বা ব্যাগে রাখছেন না স্যানিটাইজার। জোড়া ভ্যাকসিন নিয়ে একটানা দু’বছর পর নিশ্চিন্তে মাস্কবিহীন উত্সব কাটাচ্ছেন ভারতবাসী। কিন্তু, সেই নিশ্চিন্ত থাকা আর কতদিন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীপাবলির পর থেকেই ফের মাথাচাড়া দিতে পারে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। যা, ইতিমধ্যেই চিন দেশের একাংশকে একঘরে করে রেখেছে অন্যান্য প্রদেশ থেকে।
উল্লেখ্য বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাসের ওমিক্রণ প্রজাতির দুই নতুন রূপ BA.5.1.7 এবং BF.7 নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন । এই দুই রূপ চিন দেশে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে । চিনের কিছু জায়গায় এই দুই ভ্যারিয়েন্টের কারণে লকডাউনও ঘোষণা হয়েছে। দু:সংবাদ এই যে এই দুটির মধ্যে BF.7 ভ্যারিয়েন্টটি ঢুকে পড়েছে ভারতেও। বর্তমানে এটি বড় আকার ধারণ না করলেও কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার সময়ে মানুষের ব্যাপক মেলামেশা, অসতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে গোটা দেশজুড়ে এটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে।
নতুন করোনায় আক্রান্ত হলে জ্বর, গলা ব্যথা, শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা, এই জাতীয় লক্ষণগুলি সাধারণভাবে দেখা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। জোড়া টিকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় মেপে বুস্টার ডোজও নিয়ে নিতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, মাস্ক, স্যানিটাইজার ও কোভিডকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞানীরা বলছে, আগের প্রত্যেকটি প্রজাতির চেয়ে অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছেএই নতুন ওমিক্রন। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত অভিযোজন করে চলেছে করোনা ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্সের ইত্যাদি দেশেও সংক্রমণের হার বেশ গতিশীল। ভারতের মধ্যে গুজরাতেও এক জনের দেহে এই প্রজাতিটির সন্ধান পাওয়া গেছে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই এড়িয়ে গিয়ে উপস্থিত অ্যান্টিবডিকে টেক্কা দিতে প্রচণ্ড দক্ষ ‘ওমিক্রন স্পন’। এখনও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লেও যেহেতু দেশের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই এর অস্ত্বিত্ব পৌঁছে গিয়েছে, তাই অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।